হিংসা কবলিত হাওড়া যেতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md salim)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, এসবই নাটক। একটু পর ছাড়া পেয়ে যাবেন।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে একমাত্র সিপিআইএম। বাম মহল থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠছে, সুকান্ত মজুমদারকে ঢুকতে বাধা ও গ্রেফতার করা হলেও বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন ছাড় পেলেন।
এদিন সংঘর্ষ ও হিংসা কবলিত হাওড়ার পাঁচলায় যেতে গিয়ে গ্রেফতার হন বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁকে হাওড়ায় ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। নিউটাউনের বাড়ি থেকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করে সুকান্ত মজুমদার হাওড়ার দিকে রওনা হন। তাঁকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় আটকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এরকম সক্রিয়তা বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুলিশ দেখালে পরিস্থিতি এমন হিংসাত্মক হতো না। হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপি কার্যালয় শুক্রবার ভেঙে দেওয়া হয়। সেখানেই যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির গ্রেফতারিকে তৃ়ণমূল ও বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বিজেপির নেত্রী নূপূর শর্মা যেভাবে হজরত মহম্মদকে অপমানিত করেছেন তার জন্য ফাঁসি দিতে হবে। এই দাবিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা বিক্ষিপ্ত হিংসায় অগ্নিগর্ভ ছিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলেও অশান্তি ঠেকানো যায়নি। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট। শনিবারও থমথমে পরিস্থিতি। জাতীয় সড়ক ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া খড়্গপুর ট্রেন চলাচলা ফের স্বাভাবিক করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মা টিভি চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করায় দেশজুড়ে চলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি।