মাঠ জুড়ে লাল পতাকা উড়ছে। আর কৃষকরা জমিতে ধান রুইছেন। কৃষকদের সামনে রেখে ফের তাদের হারানো জমি পুনর্দখল করল (CPIM Land Reclamation) সিপিআইএম। জঙ্গলমহলে তীব্র চাঞ্চল্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে কৃষকদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জেলা সিপিআ়ইএম সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য ডেবরায় যখন জমিতে দলীয় পতাকা পুঁতে পুনর্দখল অভিযান চলছিল তখন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা দূর থেকে দেখলেও কাছে আসার সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তারা বলেছেন, এই জমির পাট্টা বাম আমলে অপারেশন বর্গার পর মিলেছিল। গত বাম জমানায় কখনো জমি বেহাত হয়নি। তাদের অভিযোগ, বাম জমানা শেষের পর ফের জোতদারদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে জমি কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এই কাজে যারা মদত দিয়েছিল তারা এখন ভীত। আপোশ করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই জ্যোতি বসু প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের জন্য জমির পাট্টা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক অপারেশন বর্গা শুরু করেছিল সিপিআইএমের সরকার। পাট্টার মাধ্যমে কৃষকরা জমির মালিক হন। উৎপাদিত ফসলের পূর্ণ অধিকারী হন। বাম আমল জুড়ে বর্গা জমি নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে জমি হারানো জোতদাররা তৃণমূল কংগ্রেস আমলে বিশেষ সক্রিয়। তারই প্রতিবাদে নেমেছে সিপিআইএমের শাখা সংগঠন কৃষকসভা। জেলায় জেলায় চলেছে জমি পুনরুদ্ধার পর্ব।
১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা সাড়ে তিন দশক বামফ্রন্ট সরকার চলে। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। অভিযোগ, ২০১১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দামোদরপুর গ্রামে পাট্টা ও রেকর্ড হওয়া দেড় বিঘে জমি কেড়ে নিয়েছিল শাসক দল তৃণমূলের জোতদার বাহিনী। সেই জমি কৃষক সভা (AIKS)-র নেতৃত্বে পুনরায় দখল করেছেন কৃষকরা।
চাষের জমি উদ্ধার করতে সিপিআইএমের মিছিলে শামিল হনু এই এলাকার ৫টি মৌজার বাসিন্দারা। কৃষক মহিলা ও পুরুষরাচারা রোপণ করেন। স্থানীয় যেতমজুর সংগঠনের সম্পাদক মঙ্গল হাঁসলা বলেছেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে রেকর্ড নথিভুক্ত পাট্টাদার এমন ১৯টি পরিবারকে তৃণমূল কংগ্রেস উচ্ছেদ করে সেই জমি টাকার বিনিময়ে লোককে চাষ করতে তুলে দিয়েছিলেন।পুলিশ প্রশাসনসহ তুমি দফতর নীরব। সাজানো মামলায় গরিব মানুষদের হেনস্তা করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জোতদাররা।কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠনের ডাকে জমি উদ্ধারের আন্দোলনে শামিল কৃষকরা বলেছেন লাল ঝান্ডার হয়ে লড়াই করে মরবো।