মমতার সফরের আগেই কেষ্ট-কাজলের গড়ে শক্তি দেখাল শূন্য সিপিএম

পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পড়শি দেশে পাঠানোর প্রতিবাদে বীরভূম থেকে নতুন ‘ভাষা আন্দোলন’ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী…

CPIM raises voice in protest against the harassment of Bengali-speaking migrant workers in various BJP-ruled states

পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পড়শি দেশে পাঠানোর প্রতিবাদে বীরভূম থেকে নতুন ‘ভাষা আন্দোলন’ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৮ জুলাই বোলপুর থেকে তার এই কর্মসূচি শুরুর আগেই চমক দিল (CPIM) সিপিআইএম। জেলায় বেশ কয়েকটি মিছিলে বাম শ্রমিক সংগঠনের সদস্য ও দলীয় সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

বীরভূম জেলায় তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট) ও কাজল শেখের শিবিরে বিভক্ত। যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মমতা ও অভিষেক। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই বীরভূমে বিশেষ নজর দিচ্ছেন মমতা।
ভিন রাজ্যে থাকা পশ্চিমবঙ্গের আধার-ভোটারকার্ডধারী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করার প্রতিবাদে সরব মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গত একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২৭ জুলাই বীরভূমের নানুরে শহিদ দিবসের দিন থেকে বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাসের প্রতিবাদ শুরু হবে। বোলপুরে থেকে বাংলা ভাষা ও বাঙালি রক্ষার স্বার্থে পদযাত্রা করবেন মমতা।

   

বাংলা বললেই বাংলাদেশি বিতর্কে মমতার মতোই প্রবল সরব সিপিআইএম। রাজ্যের পূর্বতন শাসকদলের তরফে কলকাতায় বড়বড় মিছিল হয়েছে। দলটির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, সংঘের মদতে বিজেপি বাঙালিশ বিরোধী চক্রান্তে নেমেছে। সর্বত্র এর প্রতিবাদ হবে।

Advertisements

দলীয় নির্দেশ আসতেই বীরভূম জেলায় পরপর মিছিল শুরু করল সিপিআইএম। দলটির জেলা কমিটি জানিয়েছে, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে লোহাপুর কাঁটাগড়িয়া মোড়ে ধিক্কার মিছিল ও পথসভা হয়।

লক্ষ্যনীয়, কেষ্ট ও কাজলের গড়ে বাম মিছিলে ভিড়! তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য থেকে লোকসভা ও বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেলেও সাংগঠনিক কাঠামো ধরে রেখেছে সিপিআইএম। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে বাঙালি স্বার্থে জনতার ঢল নামবে।