বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, বাংলা-ত্রিপুরায় প্রতিবাদে সরব সিপিএম

বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব ভারতের বিভিন্ন মহল। হিন্দু নির্যাতন রুখতে ব্যবস্থা নিক ভারত সরকার। এই দাবিতে সম্প্রতি কেন্দ্রকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের…

CPIM internal confliuct Sujan Chakraborty's wife Mili Chakraborty left south 24 pargana district commitee

বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব ভারতের বিভিন্ন মহল। হিন্দু নির্যাতন রুখতে ব্যবস্থা নিক ভারত সরকার। এই দাবিতে সম্প্রতি কেন্দ্রকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও (TMC) বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের যে কোনও পদক্ষেপকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। এদিকে সীমান্ত পারে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরচিত সন্ত্রাস নিয়ে লাগাতার মিছিল করে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করতে ইতিমধ্যে সোমবার পেট্রাপোল সীমান্ত ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে রাজ্যে বিজেপি (BJP)। এমন অবস্থায় জনসমর্থন পেতে পিছিয়ে নেই সিপিএমও। বাংলাদেশ ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যে জুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে বামেদের (CPIM) পক্ষ থেকে। 

বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন ভারতের, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ‘ভয়’ ঢাকার

   

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদে সরব হয়েছে ত্রিপুরার সিপিএম। গত বৃহস্পতিবারই বামেদের পক্ষ থেকে মিছিল বের করে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে উত্তর-পূর্বের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যটিতে। রাজ্যের সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ” ইউনুসের  বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে  বড় বন্ধু ভাবছে। যা তাদের ৭১-র স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার সম্পূর্ণ পরিুপন্থী।”

রবিবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদে এবং সে দেশে সব মানুষের অধিকারের সুরক্ষার দাবিতে  রাজ্যের বিভিন্ন নানা জেলায় এ দিনও পথে নেমেছিল সিপিএম। সূত্রের খবর, নানা এলাকায় সিপিএমের এরিয়া কমিটির যে সম্মেলন চলছে, সেখানেও বাংলাদেশ বিষয়ে জোরদার প্রতিবাদের দাবি উঠছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও বলেছেন, “যে কোনও জায়গায় সংখ্যালঘুকে দেখার দায়িত্ব সেই রাষ্ট্রের এবং সেখানকার সংখ্যাগুরুর। তবেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য থাকবে।”

সুপরিকল্পিত সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে, প্রাণ বাঁচাতে মোদীর হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশি হিন্দুরা

বাংলাদেশে (Bangladesh) চলমান অস্থিরতা ও হিন্দু নির্যাতনের (Hindu Genocide) জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তারমধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তারমধ্যে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি।

হিন্দুদের আক্রমণ করে টেকা যাবে না, বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সেই প্রতিক্রিয়া পেতেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইউনিসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থিত মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর ‘টার্গেট কিলিং’ শুরু করেছে তারা। ভাঙচুর চলছে একাধিক মন্দিরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশের হিন্দুরা। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার সমস্ত রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইউনুসের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত।