রাজ্যে ইডি সিবিআই অভিযানে জেরবার শাসক দল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার থেকে খেলা হবে রাজনৈতিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। আশঙ্কা করেছেন, তাঁর বাড়িতেও সিবিআই যেতে পারে। দলীয় কর্মীদের পথে নেমে আসার বার্তা দিয়েছেন। চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিলেন জঙ্গলমহলের দাপুটে সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, কাকে এর পরে কোমরে দঁড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে। এই আতঙ্কে তৃণমূল নেতাদের ঘুম চলে গেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে জেলায় জেলায় প্রতিবাদে নামল সিপিআইএম। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক দফতর ঘেরাও অভিযানে অংশ নেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও জেলা সিপিআইএম সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।
সুশান্ত ঘোষ বলেন, শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের চেহারা,পুরসভার সদস্যদের চেহারা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের চেহারা এই ১০ বছরে কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। ২০১১ সালে, ২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে সম্পত্তি কতগুণ করে বেড়েছে। যখন নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশে তার তালিকা ইডিকে তদন্ত করার কথা বলেছেন। তখন আংবাদিক বৈঠক করে বলতে হচ্ছে সবাই চোর নয়। তাহলেকে চোর সেটা বলে দিন। তাহলেই ফয়সালা হয়ে যায়। তা না করে আবার হাইকোর্টে আপিল করতে গেছেন। যাতে তদন্তের দায়িত্ব কোনমতেই ইডিকে না দেওয়া হয়। ইডি তদন্ত করলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
সুশান্ত ঘোষ বলেন, সব মন্ত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সমস্ত নেতাদের মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এর পরে কার পালা পড়বে। বাম নেতার মন্তব্য, এভাবে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখতে পারবেন না। আজকে মানুষের ভোটে মন্ত্রী হয়েছেন। মানুষ ছুঁড়ে ফেলেদিলে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।