আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিআইএম নেতা শক্তিমোহন মালিকের গ্রামেই বাম পঞ্চায়েত প্রার্থীকে খুনের হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত টিএমসি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য না করা হয়েছে ব্যাপক মারধর।
আরামবাগের তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডীবাটি গ্রামের ঘটনা। এই এলাকা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছিলেন সিপিআইএম মহিলা প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাকেই চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গ্রামের সমস্ত কিছু থেকে তাকে বঞ্চিত করে রাখারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, নাসিমা বেগমের দেওরের হাত মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে বাড়ি।
উল্লেখ্য, ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রার্থীর বাড়িতে হাজির হন প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, সিপিআইএম নেতা সুশান্ত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা।
ঘটনায় নাসিমা বেগম বলেন, “আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। তখনই একদল লোক এসেই খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে থাকে। বাড়ি তছনছ করে। মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ব্যাপক মারধর করে। আমার দেওরকেও মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে।”
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আসলে ওরা মিডিয়াতে প্রচার চাইছে। ইচ্ছা করে তৃণমূলের নাম অপপ্রচার করছে।”