আসানসোলে মনোপলি প্রচারে সিপিআইএম

সরে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর দেখা নেই। আসানসোলের একচেটিয়া প্রচারে সিপিআইএম প্রার্থী। শিল্প শহরে দুই ফুলের প্রচারে ভাটা। কয়েকদিন পরেই লোকসভা ভোট। সব…

আসানসোলে মনোপলি প্রচারে সিপিআইএম

সরে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর দেখা নেই। আসানসোলের একচেটিয়া প্রচারে সিপিআইএম প্রার্থী। শিল্প শহরে দুই ফুলের প্রচারে ভাটা।

কয়েকদিন পরেই লোকসভা ভোট। সব কেন্দ্রেই জোরকদমে চলছে ভোটের প্রচার। কোমর বেঁধে ময়দানে সবপক্ষ। কিন্তু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে যেন অন্য ছবি। তৃণমূল-বিজেপির প্রচারে ভাটা। প্রচারের মাঠে শুধু সিপিআইএম প্রার্থী। জাহানারা খান। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।

তাই খোলা মাঠে প্রচার করছেন সিপিআইএম প্রার্থী জাহানারা খান। শিল্প শহরের সিপিআইএম প্রার্থী বলছেন, ‘অভিনেতা-গায়কদের আমরা সম্মান করি। কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শ থেকে আমরা তাঁদের বিরোধিতা করি। না বুঝে মানুষ একটা আকর্ষণে তাঁকে ভোট দিয়েছে। একবার দিয়ে দেখেছে। এবার মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। মেহনতি খেতে খাওয়া মানুষকে সাধারণ মানুষ সংসদে দেখতে চায়। বিজেপি সরকার চালাচ্ছে, আর আসানসোলে একটা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না? এ তো লজ্জার বিষয়।’

২০১৪ এবং ২০১৯ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জেতে বিজেপি। ২০২২ সালে উপনির্বাচনে এখানে ঘাসফুল ফোটে। চব্বিশের ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় আসানসোলের নাম ছিল। ভোজপুরী নায়ক-গায়ক পবন সিংয়ের নাম ঘোষণা করে পদ্ম শিবির। কিন্তু তিনি আসানসোল থেকে লড়তে নারাজ। এই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। প্রার্থী না থাকলেও কর্মীদের নিয়ে ময়দানে স্থানীয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রার্থী নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হয়েই কী হল? এত বড় দোল উৎসব হল, কই তৃণমূলের প্রার্থীকে তো এখানে পাওয়া যায়নি। উনি পটনাতে হোলি পালন করেছেন। তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা করেই কী লাভ হল? উনি মানুষের পাশে অতীতেও ছিলেন না। এখনও নেই। বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা হোক বা না হোক, বিজেপির বুথ লেভেলের কর্মীরা-বিজেপির সবস্তরের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা মানুষের পাশে থাকে, এখনও আছে।’

Advertisements

২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা। চব্বিশেও তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে দল। গত দশই মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। তারপর থেকে আর আসানসোলে প্রচারে দেখা যায়নি শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তাই প্রার্থীকে ছাড়াই চলছে প্রচার। এ নিয়ে আসানসোলের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, ‘দশই মার্চের অনেক আগে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। তিনি তখন থেকেই আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। হিরাপুর, দুর্গাপুরে কর্মিসভা করেছেন।’

আগামী তেরোই মে আসানসোলে ভোট। তার আগে স্বাভাবিকভাবেই প্রচারে এগিয়ে সিপিআইএম। তৃণমূল-বিজেপির প্রচারে ভাটা।