অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের স্ত্রী ‘অনেক কিছু জানে’, নজরে রাখছে সিবিআই

গোরুপাচার মামলায় সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে (CBI) সিবিআই। সায়গলের হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কী করে হলো…

গোরুপাচার মামলায় সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে (CBI) সিবিআই। সায়গলের হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কী করে হলো সেটা জানতেই এবার সিবিআইয়ের নজরে স্ত্রী সোমাইয়া হোসেন জুঁইকে তলব করতে পারে সিবিআই। তার সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

রাজ পুলিশের সাধারণ কর্মী সায়গল হোসেন যখন থেকে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী নিযুক্ত হন তার পরই বিপুল সম্পত্তি করেছেন। এমনকি তার শিক্ষিকা স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার জুঁইয়ের রোজগারের তুলনায় সঙ্গতিহীন সম্পত্তি কী করে হলো তাও বিশদে জানতে চায় সিবিআই।

সোমাইয়া জুঁইয়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হিসেব পেয়েছে সিবিআই। এই সম্পত্তি হিসেব বহির্ভুত বলে জানা গেছে। জুঁইয়ের চাকরি এবং চাকরি বদলির ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছিল সায়গল হোসেনের স্ত্রী এমনই অভিযোগ।

মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল ও সোমাইয়া জুঁই। দুজনের বাড়ি ডোমকলে। সোমাইয়ার সঙ্গে সায়গলের বিয়ে হয়৷ ২০১৩ সালে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত হয় সায়গল। ২০১৫ সালে সায়গলের স্ত্রী ডোমকল পুরসভার রমনা এতবার নগরের একটি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পায়। অভিযোগ, কিন্তু স্কুলে তার দেখা মিলত না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দিদিমনিকে মাসে এক-দু’দিন স্কুলে পাওয়া যেত। বেশিরভাগ সময়েই বোলপুরে থাকতেন তিনি।

এর পর বদলি হয়ে বোলপুরের একটি স্কুলে চাকরি হয় সোমাইয়া৷ চাকরি পাওয়া থেকে বদলি হওয়া সবেতেই প্রভাবশালী নেতৃত্বের হাত রয়েছে এতে নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

সোমাইয়ার চাকরির পিছনে অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই৷ আগামী দিনে ফের এই মামলায় ফের অনুব্রতকে তলব করতে পারে সিবিআই।