Birbhum: গরু পাচারে জেলবন্দি কেষ্টর প্রচার জয়দেবের মেলায়

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন তিনি। জেলার রাজনীতিতেও সাম্প্রতিককালে তার নাম খুব একটা শোনা যায় না। তবে তারপরেও হয়ত…

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন তিনি। জেলার রাজনীতিতেও সাম্প্রতিককালে তার নাম খুব একটা শোনা যায় না। তবে তারপরেও হয়ত প্রচ্ছন্নভাবে কোথায় তিনি রয়ে গিয়েছেন। তাই ব্যানারে ফিরলেন তিনি। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বীরভূমের (Birbhum)অজয় নদের তীরে আয়োজিত জয়দেব মেলায় প্রবেশদ্বারে লাগানো ব্যানারেই দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। জেল বন্দি এক নেতার ছবি প্রবেশ দ্বারের ব্যানারে থাকায়, ইতিমধ্যেই কোনও কোনওমহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রবিবারই উদ্বোধন হয়েছে জয়দেব মেলার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক-সহ অন্যান্যরা। আর সেই জয়দেব মেলার ব্যানারেই দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। মূলত জয়দেব মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ব্যানার লাগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতেই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি থাকায় নতুন করে জন্ম নিয়েছে বিতর্ক।

   

এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘ওরা (তৃণমূল) সবেতেই রাজনীতি করে। এমন একটা প্রসিদ্ধ মেলা, সেখানে ওরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে না সেটা কখনও হয়? তাই জন্য সমস্ত মেলায় নিজেদের ছবি, ব্যানার, ঝান্ডা লাগিয়ে মানুষের মধ্যে টিকে থাকতে চায়। দলটি দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে রয়েছে। ওদের প্রচুর বেআইনি টাকা, আর সেই টাকাই এইভাবে ওরা খরচা করে। অনুব্রত মণ্ডলের ছবি লাগিয়েছে,কিন্তু পশ্চিমবাংলার মানুষ একেবারে মূর্খ হয়ে যায়নি। একটা চোর, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, এইরকম একটা চোর-ডাকাতের ছবি নিয়ে তৃণমূল যদি মানুষের পাশে আসে…বাংলার মানুষ এখনও সজাগ আছে। মানুষ তার বিচার করবে। তৃণমূল চোর-ডাকাতের ছবি নিয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছে, মানুষ ২৪ সালে জবাব দেবে।’

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘এতদিন যারা ওর সঙ্গে কাজ করেছিলেন তারা মনে করেছেন তাই দিয়েছেন, এতে তো বিতর্কের কিছু দেখছি না।’

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। দীর্ঘদিন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। তারপর আদালতের নির্দেশ পেয়ে তাকে দিল্লি নিয়ে যায় তদন্তকারী সংস্থা, রাখা হয় তিহারে। পরে গ্রেফতার করা হয় তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। এখনও পর্যন্ত কেউই জামিন পাননি।