চব্বিশে বিসর্জন দিয়ে দেবো। সবে তো মহারাষ্ট্র হয়েছে। এর পর ঝাড়খণ্ড হবে। তারপর রাজস্থান হবে। তারপরেই বাংলায় পৌঁছে যাবো আমরা। এই সরকারকে রাখা যাবে না। সোমবার কোচবিহারের (Coochbehar) সভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গত ২০২১ বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে টানা তিনবার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সরকার গড়েছে। এই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। তার আগেই ২০২৪ সাল নাগাদ নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভেঙে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে শুভেন্দু এমন বলেছেন। কারণ, বিধানসভা ভোট পরবর্তী সব ভোটে বিরোধী দল বিজেপির পতন হয়ে চলেছে। পুরভোটে বিজেপি বিরোধী শক্তির ভূমিকা থেকে সরে গেছে। সেই জায়গায় সিপিআইএম উঠে এসেছে ফের। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও একই ছবি ধরা পড়তে চলেছে।
বিশ্লেষণে রাজ্য বিজেপির করুণ হালে নেতারা বিপর্যস্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার গরম কথা বলছেন।
কোচবিহার শুভেন্দু আরও বলেন, “মেখলিগঞ্জের বিধায়ক বর্ধমান থেকে হাওয়া। কি সুন্দর! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দায় কখনই এড়িয়ে যেতে পারেন না। পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগদানের সময় ত্রিনটি শর্ত রেখেছিল। প্রথম, চ্যাংরাবান্দা ডেভলপমেন্ট অথারিটির চেয়ারম্যান করতে হবে। দুই, তাঁকে লোকসভার প্রার্থী করতে হবে। তিন, তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। বাড়িতে ২১ জনের চাকরি। তালিকা দেখেছেন? ধন্যবাদ জানাবো বীরাঙ্গনা ববিতাকে। কোর্টে গিয়ে নড়িয়ে দিয়েছেন”।