শিলিগুড়ি ৬ সেপ্টেম্বর: শনিবার শিলিগুড়িতে সামাজিক ন্যায়বিচার ও এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে কংগ্রেস দলের (Congress Rally) উদ্যোগে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম আহমদ মীর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ হল দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এটি সমগ্র ইন্ডিয়া জোটের মিশন। এই গবেষণা ও উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধীজি এবং কংগ্রেস পার্টি। আমরা সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞ। এটি মমতাজি, অখিলেশজি বা অন্য কারো ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি।” তাঁর এই বক্তব্যে ইন্ডিয়া জোটের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার স্পষ্ট হয়েছে।
#WATCH | Siliguri, West Bengal: On SIR, Congress leader Ghulam Ahmad Mir says, “Our work is to increase awareness among the 140 crore people of the country…This is the mission of the entire INDIA Alliance and the research has been done by Rahul Gandhi ji, the Congress party. We… https://t.co/kk6t6sTWiP pic.twitter.com/RDkpdoQcMI
— ANI (@ANI) September 6, 2025
এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল এসআইআর-এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে জনমত গঠন করা। গুলাম আহমদ মীর তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, “দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এসআইআর-এর মতো বিষয়গুলি জনগণের জীবনযাত্রার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই আমাদের দায়িত্ব হল মানুষকে এর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।” তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এই বিষয়ে গবেষণা করেছে এবং দেশব্যাপী এই সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করেছে।শিলিগুড়ির এই সমাবেশে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলের প্রতিনিধি এবং বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এই সমাবেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য ও বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সমাবেশে সামাজিক ন্যায়বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সমান সুযোগের দাবি উত্থাপিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই ধরনের সমাবেশ আমাদের সমস্যাগুলোকে রাজনৈতিক মঞ্চে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
আমরা চাই সরকার আমাদের কথা শুনুক এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুক।”মীর তাঁর বক্তব্যে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এবং ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীজি দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনেছেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার ভিত্তিতে আমরা এই জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই কর্মসূচি কোনো ব্যক্তি বা দলের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি দেশের সকল নাগরিকের জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা।পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সমাবেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, এবং এখানে ইন্ডিয়া জোটের এই উদ্যোগ রাজ্যে তাদের প্রভাব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই ধরনের সমাবেশ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আরও আয়োজিত হবে। তারা বলেন, “আমরা চাই সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোক এবং এসআইআর-এর মতো বিষয়গুলির প্রভাব সম্পর্কে জানুক।
আমাদের লক্ষ্য হল একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন।”এই সমাবেশে উপস্থিত স্থানীয় নেতারা জানান, শিলিগুড়ির মানুষের মধ্যে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তারা বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করবে।” এই সমাবেশে ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন, যা জোটের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
গুলাম আহমদ মীর তাঁর বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের নাম উল্লেখ করে বলেন, “এই মিশন কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। আমরা সকলে একসঙ্গে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি।” তাঁর এই বক্তব্য ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য ও সামষ্টিক লক্ষ্যের উপর আলোকপাত করেছে।
২০২৭ সালে প্রথম উড়বে তেজস MK-2, আমেরিকার সঙ্গে বড় চুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত
এই সমাবেশ শিলিগুড়ির জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ইন্ডিয়া জোটের জাতীয় কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী দিনে এই ধরনের উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির এই সমাবেশ ইন্ডিয়া জোটের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।