সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে মুখ্যমন্ত্রী যে শাড়ি পরেন, তার টাকা কোথা থেকে আসে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর আয়ের উৎস নিয়ে কটাক্ষ করার সময়ই এই কথা বলেন। এবার শান্তিপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে খোলাখুলি জানালেন তিনি কোন ‘ব্র্যান্ডে’র শাড়ি পরেন এবং ডিজাইনার কে? মমতা বলেন, “আমি নিজে হাতে শাড়ি ডিজাইন করে, ছবি এঁকে দিই। তাঁতিরা বুনে দেয়।”
নদিয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়ার তাঁতশিল্প নিয়ে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি গর্বিত নদিয়ার তাঁতশিল্পীদের জন্য। আমি যত শাড়ি পরি সব নদিয়ার। আমি নিজের হাতে এঁকে ডিজাইন করে দিই। তাঁতিরা আমাকে শাড়িগুলো বুনে দেয়। কখনও ধনেখালি, কখনও নদিয়ার শাড়ি পরি। এর কোনও তুলনাই নেই।”
মুখ্যমন্ত্রীকে অধিকাংশ সময় নীল পাড়ের সাদা সুতির শাড়ি পরতে দেঝা যায়। বিদেশ সফর, নবান্ন প্রশাসনিক সভা, জেলা সফর কিংবা কালীঘাটের বাড়ির অন্দরমহল, সব ক্ষেত্রেই তাঁকে নীল-সাদা শাড়িতে দেখা যায়। শাড়ির পাড়ের রঙে মাঝেমধ্যে বদল দেখা দিলেও, সাদা অপরিবর্তিত থাকে। সঙ্গে পায়ে থাকে চটি। বলা যায় এটাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর আয়ের উৎস, অ্যাপেল ফোন, ডিজাইনার শাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার।
সভা থেকে তাঁতশিল্পীদের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “আমি ক্ষমতায় এসে দেখলাম, মাত্র ৬ জন মসলিন তাঁতি বেঁচে রয়েছেন। সেই ৬ জনকে আমরা ৬০ জনের ট্রেনিং দিলাম। তারপর মসলিন তীর্থ তৈরি করলাম। আর এখন সেই মসলিন তীর্থ আপনাদের সবার নাম কেড়েছে।”