আশঙ্কা মিলিয়েই সংঘর্ষ পরিস্থিতি মেদিনীপুরে। সমবায় নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। সোমবার পুলিশের সামনেই দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের জেরে মঙ্গলবার বিরাট সমর্থক নিয়ে এসে প্রতিরোধ করতে মরিয়া সিপিআইএম। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মোবাইল কানে নিয়ে নেতাদের নির্দেশ মেনে তৃণমূল হামলাকারীরা হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগ, বিনা নির্বাচনে সমবায় পরিচালন সমিতির দখল নিতে চায় তৃ়ণমূল। শাসকদল অভিযোগ খারিজ করলেও কেন নির্বাচনী মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্ন উঠছে। আরও অভিযোগ,ভাড়া করা গুণ্ডাদের নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশ।
মেদিনীপুর পিপলস কো অপারেটিভ সমবায় ব্যাংকের পরিচালন কমিটি নির্বাচনে মনোনয়ন আটকাতে বামপন্থীদের উপর হামলায় কয়েকজন জখমকে বলে সিপিআইএমের দাবি। ৫১ জন প্রার্থীকেই আক্রমণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বামপন্থী পার্থীরা প্রতিরোধ করলে তাদের উপর চড়াও হয় তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা। লাথি মেরে, ধাক্কা দিতে থাকে। ঘটনায় জখম হয়েছেন একাধিক বামপন্থী পার্থী কর্মী সমর্থক।
মেদিনীপুর কো-অপারেটিভ পিপলস ব্যাংকের নির্বাচন ২০১৫ সালে হয়েছিল। সেবারও ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে এই ভোট হয়েছিলবলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি বিধানসভায়ও উত্থাপিত হয়েছিল। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলেও দীর্ঘদিন মেদিনীপুর শহরের এই সমবায় ব্যাংক নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়। রাজ্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে। আগামী মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। সোমবার ও মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র তোলার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ব্যাংকের সামনে থাকা সিপিআইএম কার্যালয়েও সোমবার গভীর রাতে পুলিস তালা লাগিয়ে দেয়। অভিযোগ,পুলিশের পাহারায় ১৬টি বাসে আনা বহিরাগতরা তান্ডব চালায়। পুলিশের সামনে সিপিআইএম কার্যালয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।