মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ (Budge Budge) এলাকায়, ট্রাফিক ডিউটিতে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বজবজ থানার চড়িয়াল মোড়ে, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে। আহত সিভিক ভলান্টিয়ার (civic volunteer) উত্তমচন্দ্র প্রামানিক (৩৬) বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, উত্তমচন্দ্র প্রামানিক ট্রাফিক ডিউটিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় এক যুবক ব্যাগ নিয়ে তাঁর কাছে আসে। হঠাৎই ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে উত্তমকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন উত্তম। এদিকে, হামলাকারী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক প্রত্যক্ষদর্শী অটোয় করে উত্তমকে প্রথমে বজবজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বজবজ থানার সহযোগিতায় তাঁকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। আহত সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তমচন্দ্র প্রামানিক বজবজের চন্ডিপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীর নাম বিনয় কয়াল। সে খড়িবেড়িয়ার বাসিন্দা। ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করে এবং হামলায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করে। তবে, কী কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ট্রাফিক ডিউটিতে থাকা একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর এমন হামলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা জানান, দিনের আলোয় এমন ঘটনা তাঁদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বজবজ থানার এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে এবং অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার কারণ ও পিছনের ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আপাতত, আহত সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তমচন্দ্র প্রামানিকের চিকিৎসা চলছে। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের তদন্ত এগিয়ে চলেছে, এবং আশা করা হচ্ছে, ঘটনার আসল কারণ শীঘ্রই প্রকাশ পাবে।