আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে ধর্ষণের অভিযোগে সঞ্জয় রাই নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic volanteer) গ্রেফতার গত সপ্তাহে। তারপর ওই ঘটনায় পুলিশের যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসায় পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষেপে ওঠে আম নাগরিক। দিকে দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল। প্রশ্ন উঠতে থাকে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের তদন্তের স্বদিচ্ছা নিয়েও।
প্রতিবাদের ‘আগুন’ এবার ময়দানেও, পুলিশি ব্যারিকেডে ‘জয় হে’ মেলাল ‘হলুদ-মেরুন’কে
এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি সিভিক ভলান্টিয়ারের তথ্য চেয়ে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ পাঠাল লালবাজার। সিভিক ভলান্টিয়ারের তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ নবান্ন থেকে শনিবারই লালবাজারকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
নবান্নের নির্দেশে কলকাতা পুলিশে কর্মরত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে জোড়া তথ্য তলব করল লালবাজার। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে মূলত দু’টি তথ্য জানাতে হবে— এক, অতীতে তাঁদের কোনও অপরাধের নজির আছে কি না, দুই, তাঁদের চারিত্রিক কোনও দোষ রয়েছে কি না। পুরুষ-মহিলা— উভয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। হোমগার্ড সম্পর্কেও খোঁজ খবর করে তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদের বিকেলে লাঠিচার্জ, পুলিশি আক্রমণে ‘ডিফেন্স’ শক্ত করল মোহন-ইস্ট
সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে তাদের কাজের মূল্যায়ন, নেশা করেন কি না, তাও তুলে ধরতে হবে ওই রিপোর্টে। রিপোর্ট হাতে পেলে রাজ্য প্রশাসন কী করে সেটাই দেখার।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই চড়ছে ক্ষোভের পারদ। দিকে দিকে বিক্ষোভে পুলিশকে তোলা হচ্ছে কাঠগড়ায়।
বাংলাদেশের মতো চক্রান্ত, মমতার পদত্যাগ চাইলেই আঙুল ভেঙে দেব, ফের বিতর্কিত মন্তব্যে উদয়নের
রবিবার বিকেলে সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে জমায়েতের পরিকল্পনা করে ফুটবলপ্রেমীরা। দলে দলে যোগ দিতে থাকেন মোহন-ইস্ট ও মহামেডানের সমর্থকেরা। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে রাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধান দলগুলির বেশ কিছু সমর্থককে আটক করেছিল পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে আহত হয়েছেন। মহিলা সমর্থকদের ওপরও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখায় প্রতিবাদীরা। উল্টোডাঙা, কৈখালি ও রুবির মোড়ে প্রতিবাদে ঢল নামে মানুষের।