বর্তমানে আদার (Ginger) বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে। একদিকে, বাজারে মহার্ঘ আদার দাম ২৮০ টাকা কেজি, এমনকি ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে, অন্যদিকে, অশোকনগর ৮ নম্বর কালীবাড়ি মোড়ে একটি বিশেষ সেল চলছিল, যেখানে ৭০ টাকায় ১ কেজি আদা বিক্রি (Sale) হচ্ছিল। এর ফলে, ওই অঞ্চলে ক্রেতাদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব উল্লাস তৈরি হয়। আদা কিনতে এমন সস্তা দাম শুনে ক্রেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েন বিক্রেতার কাছ থেকে আদা কেনার জন্য।
নৈহাটির ছেলে শেখ সামিম এমন একটি ব্যবসায়ী, যিনি সারা বছর ধরে বিভিন্ন পণ্য পাইকারি দামে বিক্রি করেন। কখনও আদা, কখনও লঙ্কা, কখনও আমলকি—তিনি সাধারণত এসব সস্তায় বিক্রি করেন। এই ব্যবসার মূল লক্ষ্য হল অল্প লাভে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্য প্রদান করা। সামিম জানান, তার ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল অল্প লাভের কারণে পণ্য খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় এবং কোনো পণ্য অবশিষ্ট থাকে না। ক্রেতাদেরও এটি খুবই পছন্দ হয়, কারণ তারা কম দামে পণ্য কিনতে পারেন।
এদিন অশোকনগরের সেল দেখে ক্রেতারা মুগ্ধ। নিতাই বিশ্বাস নামে এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি আদা কিনতে হয়, কিন্তু এখানে ৭০ টাকায় পাচ্ছি। এত সস্তায় আদা পাওয়া যায় না।” এরকম সস্তা মূল্য পেয়ে ক্রেতারা খুশি।
কিন্তু এই সস্তা আদার বিক্রির পেছনে একটা বড় কারণ রয়েছে। মণিপুরের অশান্তি পরিস্থিতির কারণে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আদার সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। মণিপুরে অশান্তির কারণে সেখানে থেকে আদা আসতে সমস্যায় পড়ছে ট্রাকগুলি। এর ফলে বাজারে আদার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শেখ সামিম জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কম লাভে ব্যবসা করেন, আর তার এই ব্যবসা ক্রেতাদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
তবে, সামিম বলেন, “যতটা সম্ভব কম লাভে আদা বিক্রি করি, যাতে ক্রেতাদের খুশি রাখা যায়।” যদি কেউ একসঙ্গে ৫০০ আদা নেন, তাহলে তার জন্য ৪০ টাকা ছাড় দেওয়া হয়। এক কেজি আদা কিনলে ১০ টাকা ছাড় মিলবে, যার ফলে ক্রেতারা ৭০ টাকায় ১ কেজি আদা পেয়ে যান।
এভাবে, শেখ সামিমের সেল কিছুটা হলেও বাজারে চলমান মহার্ঘ আদার দাম কমাতে সহায়ক হয়েছে। ক্রেতারা সন্তুষ্ট, এবং সামিমের ব্যবসাও এগিয়ে যাচ্ছে।