পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দিনেও তৃণমূলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব চরমে। এর জেরে পূর্ব বর্ধমানে (purba bardhaman) শাসক দলের ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। রায়নার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি চত্বরে। ব্লক সভাপতি ও বিধায়িকা দ্বন্দ্ব বহুদিনের। সেই ছাপ পড়ল বোর্ড গঠনে।
দলের নির্বাচিত সভাপতিকে মান্যতা না দিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তার দাবি মত রায়না ১-এ সভাপতি হলেন পবিত্র রায়। এমনকি বিধায়িকা শম্পা ধারাকে লক্ষ্য করে তুমুল স্লোগান দিলেন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। দ্রুত এলাকা থেকে চলে যান বিধায়ক শম্পা ধাড়া। তার অভিযোগ দলের তরফ থেকে সভাপতি করা হয় উৎপল মাঝিকে। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়। দলের এ ধরনের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে তারা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আগামী সোমবার ১১ জন নির্বাচিত সদস্য তারা পদত্যাগ করবেন।
শপথ গ্রহণের পর, পঞ্চায়েত সভাপতি ও সহ সভাপতির নাম আসে। উৎপল মাঝি ও মনোজ বোস। এদের নাম প্রস্তাবের পর ব্লক সভাপতি দলের মান্যতা না দিয়ে বেরিয়ে আসে। গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোট গঠন হয়েছে। এরপর ব্লক সভাপতি বিরূপ আচরণ করছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।
এ বিষয়ে পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলের অপর পক্ষ বলছেন, “নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা কালনাগিনীর হাত থেকে রায়নাকে রক্ষা করেছেন। মৌসুমী তৃণমূল মহিলা সমিতির সভাপতি নিজের বুথেই হারছে।” “আজ আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে গরীব মানুষের লোক, অসম্মানের কিছু নেই। তাকে আমরা সভাপতি করেছি।”