রেলের মধ্যে এবার কেউটে আতঙ্ক। তার জেরে ভয়ে সারারাত জেগে থাকতে হল যাত্রীদের। শিয়ালদহ পৌঁছে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাত্রীরা।
নিউ জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসা হাওড়ামুখী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের S1 কামরার ১ নম্বর আসনের তলায় কেউটে সাপ দেখতে পান যাত্রী। নিমেষে ওই কামরা ফাঁকা হয়ে যায়। যাত্রীরা অন্য কামরাতে চলে যান।
ততক্ষণে আরপিএফের কাছে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ট্রেনে কেউটে আতঙ্কের খবর পৌঁছায়। নির্দেশ মতো আরপিএফ ইসলামপুরে সাপ ধরতে অভ্যস্ত নবনীতা উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন।
তিনি আলুয়াবাড়ি স্টেশনে হাজির হন সাপ ধরার যন্ত্র নিয়ে। তিনটি কামরা ফাঁকা করে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও সাপের সন্ধান পাননি নবনীতা।
এরপর তার কথা মতো ট্রেনটি গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে আতঙ্কে সারাটা রাত কাটে যাত্রীদের। তাঁদের কথায়, “রাতে ঘুমোতে পারিনি। আতঙ্কে সবাই লাগেজ তুলে দেয় বাঙ্কে। ফলে বাঙ্কের যাত্রীদের নেমে আসতে হয় নিচের সিটে।”
উল্লেখ্য, ট্রেনে সাপ ওঠার ঘটনা এই প্রথম নয়। কালকা মেলের বার্থের উপরেও সাপ দেখা গিয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেডে থাকাকালীন সাপ উঠে যায় কামরার ভিতরে। সাপ, ইঁদুর, আরশোলা তাড়ানোর তদারকির জন্য রেলের আলাদা কর্মী থাকলেও এ ব্যাপারে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগে ক্ষোভ উগড়ে দেন যাত্রীরা।