Bhangar: তৃ়ণমূল ‘অত্যাচার চালাচ্ছে’ বলে অনড় নওশাদ, ‘হম্বিতম্বি’ আরাবুলের

ভাঙড়ের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা। আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে তুলকালাম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নওশাদ ও আরাবুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় কাশিপুর থানার পুলিশ। এই…

ভাঙড়ের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা। আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে তুলকালাম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নওশাদ ও আরাবুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় কাশিপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে পোলেরহাটে টায়ার্ড জ্বালিয়ে বিক্ষোভ জমি ও জীবিকা রক্ষা কমিটির।

এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকী দাবি করেছেন, আজ স্থায়ী কমিটির যে মিটিং চলছিল সেখানে তৃণমূল দলের সদস্যদের বলতে দেয়া হয়েছিল কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকা আইএসএফ বা জমি জীবিকা রক্ষা কমিটিকে বলতে দেওয়া হয়নি। সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে নওশাদ সিদ্দিকী। পঞ্চায়েত ভোটের সময় যেভাবে অত্যাচার করেছে শাসক দল। সেখানে পঞ্চায়েত গঠনের সময়, পঞ্চায়েতের যে কোনও কাজে বিরোধীদের রাখা হচ্ছে না।

আইএসএফের তরফ থেকে আজ এ কথাই বলতে চাইছিলেন তারা। তবে তাদের আজ বলতে দেওয়া হয়নি। মূলত এই ঘটনা নিয়েই দুই দলের মধ্যে বচসা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন নওশাল সিদ্দিকী ও আরাবুল ইসলাম।

অন্যদিকে পুলিশের তৎপরতায় সেখান থেকে সবাইকে সরিয়ে দিলেও নওশাদ সিদ্দিকী ও তার অনুগামী দলের সদস্যরা বিডিওর ঘরের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায়। এরপরই দেখা যায় বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূল ও আইএসএফের প্রচুর কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়। পুলিশ এসে তাদের রীতিমতো সরিয়ে দেয়। যেই পঞ্চায়েত আইএসএফ সহ জমি ও জীবিকা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে দখল করা হয়েছিল সেখানে তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

ঘটনার সময় এই বিষয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, “নিয়ম হচ্ছে খসড়া অ্যাকশন প্লান্ট এখনো দিতে পারেনি ওদের। ওদের দাবি খসড়া তাদের দিতে হবে কোথায় কী কাজ হবে সে বিষয়ে বলতে হবে। আমরা তো ওদের পড়ে শুনিয়েছি আমাদের ইঞ্জিনিয়ার সাহেবও ওদের শুনিয়েছে। তারপরেও কোনো গন্ডগোল করার ব্যাপার নেই। নওশাদ সিদ্দিকী জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে ভাঙড়ে একাধিক মানুষ খুন হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকী এখনো চাইছে ভাঙড়ে খুনোখুনি করতে। নওশাদ আজও প্লান করে বাইরের কিছু ছেলেদের নিয়ে ঝামেলা পাকিয়েছে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভাঙড় উত্তপ্ত করছে”।

এই ঝামেলার পর নওশাদ সিদ্দিকী বলেছেন, ” শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে এখানে সাধারণ ভোটাররাও ছুটে এসেছে। তাদের অধিকার হনন হচ্ছে। আমরা বিডিওকে টাইম দিয়েছি, আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের মতে গণতন্ত্রকে ঠিক রাখার জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কীভাবে কি করতে হয় তা আমরা জানাবো”।