পুরভোটের মতো পঞ্চায়েত ভোটে একেবারেই শূন্য হতে পারে রাজ্যের বিরোধী দল (BJP) বিজেপি। চিন্তা বাড়িয়েছে সিপিআইএমের উঠে আসা। এমনই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে ভীত বিজেপি।
যে হারে প্রতিদিন নীচুতলার কর্মীরা বিজেপি থেকে থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন তাতে চিন্তা ক্রমশই বাড়ছে দিল্লির নেতাদের। এরই মধ্যে আবার দুটি লোকসভা কেন্দ্র খুইয়ে বসতে হয়েছে৷ আগামী দিনে বাংলা থেকে দুটি কেন, একটিও আসন পাওয়া বেশ চাপের তা আন্দাজ করতেই পারছে দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতারা৷ তাই সংগঠনকে পুনরায় উজ্জীবিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীদের কাঁধে।
সূত্রের খবর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরেন রিজেজু, ভুপেন্দ্র যাদব এবং স্মৃতি ইরানিদের পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপি সূত্রে খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে অনায়াসে ১৮ টি আসন পাওয়া গেলেও এবার তা পাওয়া সম্ভব নয়। এর পিছনে কারণ হিসাবে তাঁরা দেখছেন আসানসোল এবং ব্যারাকপুর আসনটি। যেটা এখন পুরোপুরি তৃণমূলের দখলে। অন্যদিকে, রাজ্য কমিটির সদস্য দুধকুমার মণ্ডলের পরামর্শে একে একে বীরভূমের কর্মীরা বসে যাওয়াতে চাপ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, কর্মীদের তরফেই অভিযোগ ওঠে একাধিক সাংসদদের জয়লাভের পর আর দেখাই মেলেনি৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই সমস্ত জায়গায় জনমত তৃণমূলের পক্ষে গেছে৷ আবার ভোটের পর দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে সরে গেছেন অনেকেই। সম্প্রতি ব্লক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে৷
উপনির্বাচনের এবং পুর নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে বামেরা৷ এটা চলতে থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরাশায়ী হতে পারে গেরুয়া শিবির।তাই দক্ষ সংগঠক এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে মন্ত্রীদেরকেই পাঠানো হচ্ছে। আপাতত ১৫ জুলাই অবধি বাংলায় থাকবেন তাঁরা৷ সূত্রের খবর, মন্ত্রীদের রিপোর্ট জমা নেওয়ার পরেই পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করা হবে৷