১০,২৪৭ ব্যয়ে বাংলাকে ৪ লেনের রাস্তা উপহার কেন্দ্রের, উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ

যেদিন থেকে সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়েছে সেদিন থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থেকে…

যেদিন থেকে সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়েছে সেদিন থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটকে শুধুমাত্র দুটি রাজ্যের বাজেট হিসেবে কটাক্ষ করেছে। তবে এই কটাক্ষের মাঝেই বাংলার জন্য রীতিমতো উন্নয়নের ঝুলি খুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বাংলার সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে বিরাট বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের মোদী সরকার, যা সকলকে চমকে দিয়েছে।

Advertisements

আসলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৪ লেনের খড়গপুর-মোরেগ্রাম জাতীয় উচ্চগতিসম্পন্ন করিডর অনুমোদন করেছে। খড়গপুর ও মোরেগ্রামের মধ্যে ২৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত হাই-স্পিড করিডরটি হাইব্রিড অ্যানুইটি মোডে (এইচএএম) তৈরি করা হবে। এই রাস্তার জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ১০,২৪৭ কোটি টাকা।

   

এর মাধ্যমে শুধু অর্থনীতি নয়, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্মগুলি সারা দেশে আটটি উচ্চগতির সড়ক প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মোরগ্রামের মধ্যে ২৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্প। এই করিডর নির্মাণের সঙ্গে, খড়গপুর এবং মোরগ্রামের মধ্যে মালবাহী যানবাহনের ভ্রমণের সময় বর্তমান ১০ ঘন্টা থেকে ৫ ঘন্টায় নেমে আসবে। নতুন করিডোরটি বিদ্যমান ২-লেনের জাতীয় মহাসড়কের পরিপূরক হবে, খড়গপুর ও মোরগ্রামের মধ্যে ট্র্যাফিক ক্ষমতা প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি করবে

এই মর্মে শুভেন্দু বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অগ্নিমিত্রা পল একটি টুইট বার্তায় বড় দাবি করেছেন। আজ শনিবার শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি এবং মাননীয় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতীন গডকরিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই; ১০,২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ, চার লেনের প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত খড়গপুর-মোরগ্রাম জাতীয় উচ্চগতির করিডর নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার জন্য। এই রাস্তা তৈরী হলে মালবাহী যানবাহনের ভ্রমণের সময় ৯-১০ ঘন্টা থেকে কমিয়ে ৩-৫ ঘন্টা করবে এবং মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম সহ ছয়টি জেলার মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে। যাঁরা চিৎকার করে বলছিলেন যে এটা ‘২ রাজ্যের বাজেট’ আর পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত, তাঁদের এখন কী বলার আছে? কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা করছে, কিন্তু অদক্ষ রাজ্য সরকার এবং তার অযোগ্য প্রশাসন তাদের অপশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের অগ্রগতিকে শৃঙ্খলিত করেছে।’