দুর্ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ইঞ্জিন-বগির বাইরে বসবে ক্যামেরা

চলতি বছরে একের পর এক বড় ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সমগ্র দেশ। আর সেইসব ট্রেন দুর্ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের নিরাপত্তা। কিন্তু এবার যাতে…

this time pragoti will catch without tickets train passengers, বিনা টিকিটের যাত্রী প্রগতি ভারতীয় রেল

short-samachar

চলতি বছরে একের পর এক বড় ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সমগ্র দেশ। আর সেইসব ট্রেন দুর্ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের নিরাপত্তা। কিন্তু এবার যাতে ট্রেন দুর্ঘটনা (Indian Railways) এড়ানো যায় এবং যাত্রীদেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিল রেল মন্ত্রক। নয়াদিল্লিতে রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগির ভিতরে এবং বাইরে লাগানো হবে শক্তিশালী ক্যামেরা।

   

আর এই শক্তিশালী ক্যামেরা সরাসরি সংযুক্ত রাখা হবে রেলের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে ইঞ্জিনের ভেতরে, বাইরে এবং বগির বাইরে লাগানো এই ক্যামেরার মাধ্যমে আগে থেকেই লক্ষ্য রাখা যাবে রেল ট্র্যাকের ওপর। এমনকি রেল ট্র্যাকের মধ্যে যদি কোনও মানুষ আসে বা লাইনে অন্য কোথাও সমস্যা থাকলে তা আগে থেকে টের পাওয়া যাবে শক্তিশালী ক্যামেরার মাধ্যমে। সেই ক্যামেরায় অনেক দূর থেকে সব ছবি ফুটে উঠবে।

আর সেই ছবি দেখে তাড়াতাড়ি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে দাবি করা হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে। তবে শুধু রেল ট্রাকের ওপরেই নয়, সেইসঙ্গে সিগন্যালিংয়ের দিকেও রাখা হবে নজর। কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা রেলওয়ে আধিকারিকরা সেখান থেকে বসে ভুল সিগন্যালিংয়ের দিকে নজর রাখতে পারবেন। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি ট্রেনে ১০-১২টি করে ক্যামেরা বসানো হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেল মন্ত্রক সূত্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে দেশের সব প্রান্তের দূরপাল্লার ট্রেনে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের জন্য ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আর বেশি নেই। চলতি বছরেই দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগিগুলিতে ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে রেলের একের পর এক দুর্ঘটনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। রেলের নিরাপত্তা কেন সুনিশ্চিত করা হচ্ছে না তা নিয়েও সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে এবার যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেলের নেওয়া এই পদক্ষেপে কতটা দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেটাই দেখার।