শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment corruption) মামলায় তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার (TMC leader Tapas Saha) বাড়িতে বিরাট অভিযান চালায় সিবিআই। প্রায় ১৪ ঘন্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে যান সিবিআই কর্তারা। এরপরেই তাপস সাহা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। তেহট্টের এক নম্বর ব্লক সভাপতি ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার তাপসের পুত্র সাগ্নিককে বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআইয়ের একটি দল।
দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা ধরে তল্লাশির পর শনিবার কাকভোরে তাপসের বাড়ির পুকুরপাড়ে তল্লাশি চালায় গোয়েন্দা সংস্থা। বেশ কিছু নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠতেই সেখান থেকে তথ্য নিয়ে বেরিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
তাপস ঘনিষ্ঠ অপর তৃণমূল নেতা প্রবীর কয়ালের বাড়িতে যান তাঁরা। সেখান থেকে গোয়েন্দারা সটান পৌঁছন আসতুল্লানগরে ইতি সরকারের বাড়িতে। সেখানেই তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। সূত্রের খবর, ইতি সরকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের পাশাপাশি তিনি এলাকারই একটি স্কুলে চাকরি করেন। সরকারি ওই স্কুলটির পোশাক সরবরাহ এবং পোশাক তৈরির কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
সিবিআইয়ের তরফে দীর্ঘ অভিযানে খুঁজে দেখা হয় তাপস সাহার বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা। এমনকি বিআর আম্বেদকর কলেজে গিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কিত্নু কোনও তথ্য মেলেনি। বিধায়কের কথায়, সিবিআই বাড়ির রান্নাঘর, বাথরুমেও তল্লাশি চালিয়েছে। ওরা ভেবেছিল আমার বাড়ি থেকে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা, ২০ কেজি সোনা পাওয়া যেব। কিন্তু কিচ্ছু পায়নি। একইসঙ্গে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিদের বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান।
পরে ফোন কিনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আজ ইদ। অনেককে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। তাই মোবাইলটা বড্ড দরকার। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই তাঁর দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হয়ে আসলে তিনি নিজে প্রতারিত হয়েছেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে কারোর কাছ থেকে টাকা তিনি নেননি। বরং রাজনৈতিকভাবে তাঁর দলের বেশ কয়েকজন নেতার চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি।