কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র শারীরিক অবস্থা এখনও ভালো নয়। তাই, বুধবারও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হল না৷ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিচার ভবনে পাঠানো হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, অসুস্থ ‘কাকু’৷ তিনি এখনও জেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। বুধবারও খালি হাতে ফিরতে হল সিবিআই-কে৷
ধুম জ্বর কাকুর
বুধবার কাকুর আইনজীবী জানান, ধুম জ্বর রয়েছে সুজয়কৃষ্ণের। সঙ্গে সর্দিকাশি৷ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে তাঁকে। অসুস্থতার কারণেই আদালতেও হাজির করানো সম্ভব হয়নি। মেলেনি কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনাও৷
এর পরই বিচার ভবনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, এর আগেও অন্তত চার-পাঁচ বার সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি বারই তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। অসুস্থতার কারণে পিছিয়ে যেতে হয়েছে৷ এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন কাকু৷ তাই এবারেও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি৷ তাই এ বার বিকল্প কোনও ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের আর্জি, এবার কাকুকে আনার অনুমতি দিক আদালত৷
আদালতে সশরীরে হাজির করানো গেল না
গত ২৯ জানুয়ারি ‘কাকু’কে আদালতে সশরীরে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু, সে দিনও অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হাতে পারেননি নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কিংপিন। পরবর্তীতে ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করা হয়৷ কিন্তু, বুধবারও তাঁকে আদালতে হাজির করানো গেল না৷
বিকল্প খুঁজছে সিবিআই
উল্লেখ্য, এর আগে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল এফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার সিবিআই তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে৷ এদিন বিকল্প সুযোগের দাবিও জানানো হয় সিবিআই-এর তরফে৷ কিন্তু, আদালত জানায়, ‘কাকু’কে সশরীরে আদালতে হাজির করাতেই হবে৷ না-হলে কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে না।