Anubrata Mondal: জেল নাকি বেল? টেনশনহীন অনুব্রত তবে বীরভূমে চাপা উত্তেজনা

তেমন কোনও উত্তেজনা হলনা আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত প্রাঙ্গনে। সাদা পাঞ্জাবি পরা অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) টেনশনে নেই তেমন। আজ বেল নাকি জেল? এই প্রশ্ন রাজ্যে। গোরু পাচার মামলায় সিবিআই (CBI) হেফাজতে দ্বিতীয় দফার চারদিনের হেফাজত শেষ বু়ধবার। অনুব্রতর ১৪ দিন জেল হেফাজত চাইল সিবিআই। অনুব্রতর আইনজীবীরাও জামিন আবেদন করেন।

Advertisements

এদিকে বীরভূমে চাপা উত্তেজনা। কী হবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতির। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন রাজ্য নেতারা। জেল হেফাজত হলেই তাঁকে পদ থেকে সরানোর ঘোষণা করা হবে। যেমন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হওয়ার পর তাঁকে দলীয় ও মন্ত্রীপদ থেকে সরানো হয়েছে।

দলনেত্রীর আস্থাভাজন অনুব্রত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক করেছে। গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে অনুব্রতর হয়ে সাফাই দেন মুখ্যমন্ত্রী।

গোরু পাচার মামলায় বুধবার সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের৷ সিবিআই ঘেরাটোপে কলকাতাতেই তিনি বিচারককে দেওয়া হুমকির চিঠি প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, জজ সাহেবকে বলব, চিঠি দিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হোক। মঙ্গলবার সিবিআই আদালতর বিচারক রাজেশ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনান। সেই শুনানির আগেই মঙ্গলবার আসে হুমকির চিঠি। জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ওই চিঠি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে,গোরু পাচার মামলা অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে। ২০ অগাস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisements

অভিযোগ, বারবার ‘গাঁজা কেস’ দিয়ে বিরোধী দলগুলির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করাতেন অনুব্রত। তবে এবারের চিঠি সম্পর্কে তিনি বলেন ফলস কেস।

ইতিমধ্যেই সেই চিঠির কপি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন বিচারক। যা ঘিরে গতকাল থেকে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যার নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেই বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না৷