Primary TET: বিরাট দুর্নীতি! এবার চাকরি হারাতে পারেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

২০১৬-র এসএসসির প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। এবার প্রাথমিক নিয়োগেও (Primary TET) বড়সড় দুর্নীতির হদিশ মিলল।…

primary-tet

২০১৬-র এসএসসির প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। এবার প্রাথমিক নিয়োগেও (Primary TET) বড়সড় দুর্নীতির হদিশ মিলল। হাইকোর্টে তেমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে যে সমস্ত চাকরি হয়েছে, তাতেই কারচুপির ইঙ্গিত মিলেছে। এই সংক্রান্ত নথি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে জমা দিয়েছে সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টে প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল।

সেই মামলায় এদিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানানোর কথা ছিল। তবে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী আজ ওই মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। তাঁদের আবেদন মেনে নিয়েছে হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, নকল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অযোগ্যদের নিয়োগ থেকে শুরু করে নম্বর বাড়িয়ে টেট পাশ করিয়ে নিয়োগ, এমনকী ওএমআরে কারচুপি করে নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে প্রাথমিক শিক্ষক রিক্রুটমেন্টে। সমস্ত নথি আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

   

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উপরে বেশ কয়েকবার শিক্ষক নিয়োগ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালের নিয়োগও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রমাণিত হলে চাকরি হারাতে পারেন হাজার হাজার ছেলেমেয়ে। সংখ্যাটা ২০১৬-র প্যানেলে চাকরি হারানোদের তুলনায় বেশি বই, কম নয়। প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করবে।

প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি আট সপ্তাহ পরে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন বলেন, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। চাইলে তারা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও যেতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও আগেই জানিয়েছিল, নিয়ম মেনে ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ওএমআর সহ সমস্ত কাগজ ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই নজিরবিহীন রায়ের ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ।

যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে চাকরিহারাদের একাংশ, এসএসসি এবং পর্ষদ। সেই মামলার শুনানিতে গত সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, প্রচুর সংখ্যক চাকরি বাতিল হয়েছে। সব ওএমআর শিট নষ্ট করে দিয়েছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করবেন কীভাবে? উপায় না থাকাতেই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট। অন্য কোনও উপায় না থাকলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, দুর্নীতির সুবিধাভোগী কারা সেটা দেখতে হবে।