কলকাতা: এসএসসি-র নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার দ্রুত শুনানিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়ে দেন, এখনই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। মামলাটি তালিকাভুক্ত থাকবে এবং পরবর্তী শুনানি হবে আগামী জুলাই মাসে।
নতুন নিয়োগের নির্দেশ
২০১৬ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নতুন নিয়োগ শুরুর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আগের তুলনায় একাধিক নিয়ম বদলানো হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম বদলের ফলে আগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা বহু প্রার্থী নতুন নিয়োগের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন।
সোমবার হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাঁচেই নতুন নিয়োগ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে নিয়ম চালু হয়েছে, তাতে আগের অনেক যোগ্য প্রার্থী সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, আগে যেখানে লিখিত পরীক্ষা ছিল ৫৫ নম্বরের, সেখানে এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। পাশাপাশি প্রার্থীদের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ফলে যাঁরা আগে অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন, তাঁরা এখন এই নতুন নিয়মে পিছিয়ে পড়ছেন।
এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলবে Calcutta High Court SSC case
এসব যুক্তি শোনার পরও বিচারপতি জানান, আপাতত এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া হবে। এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আদালতের মত। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথে কোনও নতুন জটিলতা তৈরি হলে, তখন আদালত বিষয়টি বিবেচনা করবে।
গত মাসের শেষেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের বাতিল হওয়া নিয়োগের পরিবর্তে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরেই একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, নিয়োগের নিয়ম বদলে তাঁদের ন্যায্য অধিকার খর্ব হয়েছে। তবে আপাতত আদালতের তরফে স্পষ্ট বার্তা—এসএসসি-র কাজে এখনই রাশ টানা হবে না, সবদিক খতিয়ে দেখে মামলার শুনানি হবে নির্ধারিত সময়েই।
West Bengal: Kolkata High Court declines urgent hearing on the new SSC recruitment notification challenge, stating no immediate intervention in the process. The case, challenging changed rules for school teacher recruitment post-2016 cancellation, will be heard in July. Impact on waitlisted candidates discussed.