হিরণের মামলায় দেবকে নোটিস হাইকোর্টের, ভোট কারচুপির অভিযোগে বেকায়দায় সুপারস্টার

এবার লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতেছেন সুপারস্টার দেব। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসন থেকে দ্বিতীয়বার লড়াই করেছিলেন তিনি। বিপরীতে…

Dev got Notice from Calcutta High Court

এবার লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতেছেন সুপারস্টার দেব। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসন থেকে দ্বিতীয়বার লড়াই করেছিলেন তিনি। বিপরীতে বিজেপির (BJP) প্রার্থী অভিনেতা হিরণকে পরাজিত করেন তিনি। আর এই ভোটের ফলাফল মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির।

হিন্দু ভোটের দুশ্চিন্তাতেই শুভেন্দুর দাবি মেনে তৃণমূলের বেনজির কান্ড বিধানসভায়?

   

তাঁদের দাবি, ভোটে কারচুপি করে দেবকে জিতিয়েছে রাজ্যের শাসকদল । সেই অনুযায়ী, দেবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিরণ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই দেবকে নোটিস পাঠাল হাইকোর্ট। ভোটের সমস্ত নথিপত্র এবং ভোট কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ সমস্ত কিছু সংরক্ষণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের বেঞ্চ। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ছাড়াও কোচবিহার, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার এবং আরামবাগ— রাজ্যের পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস, আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। পদ্মশিবিরের দাবি, পাঁচ কেন্দ্রেই ভোটে কারচুপি হয়েছে।

Rahul Gandhi: ‘পাপ্পুর’ করা সেলাইয়ে ‘হাওয়াই চটি’র দাম এখন ১০ লাখ!

ওই পাঁচ মামলা পাঁচ জন পৃথক বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ঘাটালের মামলাটি পাঠানো হয়েছে বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই অভিনেতা সাংসদকে নোটিস পাঠায় আদালত।

কেন্দ্রীয় আইনে না! বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ ন্যায় সংহিতা বিরোধী প্রস্তাব

এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী হিরণ আগেই জানিয়েছিলেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে ব্যপক। ঘাটাল কেন্দ্রের একাধিক বুথে রীতিমতো ছাপ্পা মেরে ভোট করিয়েছে তৃণমূল। এরকম না হলে ভোটের ফলাফল অন্যরকম হত। অন্যদিকে হিরণের অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। হিরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছে তৃণমূল।