শুভেন্দুর ধর্ণায় বসার দাবি নিয়ে ‘মঙ্গলে’ শুনানি হাইকোর্টে

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল ভবনের পর এবার রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্ণায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে চাপ বাড়াতে রাজ্য পুলিশের…

Calcutta-High-Court

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল ভবনের পর এবার রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্ণায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে চাপ বাড়াতে রাজ্য পুলিশের দফতরকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ধর্ণার অনুমতি চেয়ে ডিজির দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার কারণে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরই ‘চেনা ছকে’ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগামী মঙ্গলবার ২৫ জুন সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হল। অর্থ্যাত্ আগামী সপ্তাহেই আদালতে ফের উঠতে চলেছে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলার বিষয়টি।

গত সপ্তাহেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রায় ২০০ জন ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু পুলিশি তত্পরতায় সেদিন রাজভবনে ঢুকতে না পারায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। পরে সেই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তার নির্দেশ মেনেই শুভেন্দুকে রাজভবনে প্রবেশের অনুমতি দেয় রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। তারপর সম্প্রতি প্রায় একশ জন ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন বিরোধী দলনেতা। তুলে ধরেন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি। সেই কথা শুনে রাজ্যকে বাংলায় কথা বলে তিরস্কার করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

   

যদিও সেই মামলার শুনানিতে উঠে আসে আরও একটি বিষয়। রাজভবনের পরিবর্তে বিকল্প জায়গায় ধর্ণায় বসার অনুমতি চেয়েছিলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা। তখন শুভেন্দুর আইনজীবীদের ধর্মতলা কিংবা অন্য কোনও স্থানে ধর্ণায় বসার কথা জানানো হয় আদালত ও রাজ্য প্রশাসনের তরফে। কিন্তু সেই ‘অপশন’ টি পছন্দ নয় শুভেন্দুর। এদিন তার প্রেক্ষিতেই আদালতে রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্ণায় বসার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা। এবার সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের করা একটি পৃথক মামলায় মত শুনিয়েছে হাইকোর্টের বিচারলপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ। তিনি বলেন, “আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়াদের বাড়ি ফেরাতে হবে।” সুতরাং মঙ্গলবারের মধ্যে আদৌ কতজন ঘরে ফিরবে, সেই বিষয়ে সন্দেহ বাড়ছে। এর মধ্যে শুভেন্দুর ধর্ণা বসা নিয়ে মামলার জল কতদূর গড়ায় সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।