গত শনিবার লোকসভা নির্বাচনের দিন উত্তপ্ত হয়েছিল বসিররহাটের সন্দেশখালির বয়ারমারি। দফায় দফায় ছড়ায় উত্তেজেনা। সংঘর্ষ ও অশান্তিতে মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীরও। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাল্টা রেখা পাত্রদের ওই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় প্রশাসনের তরফে। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী বিরুদ্ধে গায়ের হয় এফআইআর। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেখা। ওই মামলার শুনানিতেই স্বস্তি পেলেন বিজেপি প্রার্থী। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ দিয়েছেন যে, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত ‘সন্দেসখালির প্রতিবাদী মুখ’ রেখার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
এদিন রেখার আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে জানান, রেখা সংগ্রামী মহিলা। গণনার আগে ফের তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে পুলিশ। মিথ্যে অভিযোগ এনে এমন ধারা দেওয়া হয়েছে, যাতে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আদালতে জানান হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
দুরন্ত জয়ের তুফানি সেলিব্রেশন, জানুন বিজেপির মেগা পরিকল্পনা
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রেখাকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার ভোটের গনণা। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী যাতে বিনা বাধায় তাঁর নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন, তার জন্যই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থীকে এই রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জিমেনে নিয়েছে উচ্চআদালত।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ২১ মে রেখা পাত্রকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। জানিয়েছিল, গত ১২ মে রেখার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ওই মামলায় কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়োকাণ্ডে বিজেপির সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল এবং বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার বিরুদ্ধে ১২ মে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়।