ছাত্রনেতা আনিস হত্যা মামলা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আনিস খানের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে আনিস হত্যা মামলায় এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে এই খুন নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন নতুন ঘটনা নয়। বিরোধী কর্মীদের খুন করানো হত। নিজের কর্মীদেরও খুন করিয়েছে তৃণমূল। এতদিন তো সিএএ-র বিরোধিতায় ওঁর নেতৃত্বে হয়েছে। তৃণমূল তো সঙ্গেই ছিল। সুজনবাবু বলেছেন, পুলিশ দিয়ে নাকি এনকাউন্টার করানো হয়েছে। পুলিশ দিয়ে যে এনকাউন্টার হয় তা আমার জানা নেই। তাহলে এত দুর্বৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াত না।
যাই হোক সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। তদন্ত হওয়া উচিত। রহস্য উদঘাটন হোক। আত্মহত্যা হলে সেটাও সামনে আসা দরকার।’
অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনকে যাতে ক্ষোভের কেন্দ্রে ফেলা যায় তাই রাজনীতি করা হচ্ছে। এসএফআই-র কুম্ভীরাশ্রু দরকার নেই। তাদের জমানায় তো গণহত্যার লাগামছাড়া ইতিহাস। পুলিশ ও প্রশাসনকে যাতে ক্ষোভের কেন্দ্রে ফেলা যায় তাই রাজনীতি করা হচ্ছে। এসএফআই-র কুম্ভীরাশ্রু দরকার নেই। তাদের জমানায় তো গণহত্যার লাগামছাড়া ইতিহাস। ১১ সালের বাংলায় একটাও গণহত্যা হয়নি। দোষীদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে। আনিস এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক। আমরাও এনআরসি বিরোধী। কেন শাসক দল এনকাউন্টার করবে? তার উত্থানে কার গাত্রদাহ হচ্ছিল সেটা দেখতে হবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাচ্ছি ওই এলাকায় কোনও পুলিশের ডিউটি ছিল না। রাজনৈতিক কুৎসার হাতিয়ারের জন্য পুলিশের উর্দিকে অপব্যবহার করা হয়েছে।’
রবিবার চরম বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশবাহিনী। পরিবারের দাবি, পুলিশই মেরেছে তাদের ছেলেকে। তাই সিবিআইকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করাতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হলেও তাঁদের মধ্যে গড়িমসি দেখা যায়। বহুক্ষণ ঘটনাস্থলে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে আনিশের রক্তাক্ত দেহ। প্রায় সাত-আট ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে চলে যায়। কিন্তু তারপর থেকে পুলিশকে আর সেখানে দেখা যায়নি। এমনকী, ঘটনাস্থলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে চাপ চাপ রক্ত। কোনও নমুনা অবধি সংগ্রহ করা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।