বরখাস্ত অভিজিৎ দাস
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিজেপির অভিজিৎ দাস (Abhijit Das) ওরফে ববি। সেই পরাজিত প্রার্থীকেই বরকাস্ত করল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তোলা হয়েছে ববি-র বিরুদ্ধে।
কী অভিযোগ?
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলার বিস্তীর্ণ অংশ। ভোট পরবর্তী হিংসায় তপ্ত রাজ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রন্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারেও একই ছবি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণের জেলায় আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মীই ওই অঞ্চলের দলীয় নেতা অভিজিৎ দাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ ছিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব আক্রান্তদের পাশে থাকছেন না।
দলের আক্রন্তদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে এসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের অধীন আমতলায় যায়। তখনই ওই দলের সদস্যদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপিরই আক্রান্ত অপর গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ এই পরিস্থিতি চলে।
BJP To TMC: সুযোগ বুঝে তৃণমূলে ঝাঁপ বিজেপির হেভিওয়েট দীনেশের
এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের নেতারা। এরপর মঙ্গলবার রাতে অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে বরখাস্তের নোটিস ধরানো হয় রাজ্য বিজেপির তরফে। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা চিঠি তাঁকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে কী উল্লেখ?
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮ জুন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হওয়া বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। এছাড়া আক্রান্তদেরও তিনি যেতে বাধা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা দফতরে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশে এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুকান্ত ও ববির দাবি
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘দল বিরোধী কোনও কাজ বিজেপি মেনে নেবে না। তাই প্রমাণ সহ অভিযোগ পেয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে।’ তবে, শোকজ নোটিস পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ববি নিজে।
বাগদায় বিপাকে পদ্ম শিবির! নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা