বিজেপির বুথ সভাপতি অভিজিৎ রায়ের রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়াল বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সেলিয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘর থেকে বিজেপির ওই বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি এবারের ভোটে বিজেপির পোলিং এজেন্টও ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। রাতের অন্ধকারে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীকে।
ঘটনার প্রতিবাদে মন্তেশ্বর থানা ঘেরাও করে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপির কর্মীরা।
বিজেপি নেতাদের দাবি, পোলিং এজেন্ট হওয়ার পর থেকেই অভিজিৎকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার রাতে গ্রামে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সন্ধ্যা থেকে অভিজিতের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে এলাকায় ভাইরাল এক ভিডিও-তে নিজেকে অভিজিতের বাবা বলে দাবি করা অরুণ রায় নামে এক ব্যক্তি বলছেন, ‘ও নিজে থেকে সুইসাইড করেছে। বৌমার সঙ্গে অশান্তি করত মাঝেমাঝে, মদ খেত, নেশা-ভাং করত। সংসার না চললেই বৌমার সঙ্গে অশান্তি হত।’ এর আগেও অভিজিৎ কয়েক বার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দাবি করেছেন অরুণ রায়।
আরও পড়ুন- BJP: গাড়িতে হামলার অভিযোগ, জোর বাঁচলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব!
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘অভিজিৎ আত্মহত্যা করতে পারে না। তৃণমূলই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে এই খুন করেছে। ছেলে খুনের পর বাবাকে দিয়ে জোর করে অত্মহত্যার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত ও ময়না তদন্তের পরই সব বোজা যাবে।’