শুভেন্দু-জামাল সংঘাত, বিজেপির অন্দরে নয়া দ্বন্দ্বের সূত্রপাত?

“সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর নয়, যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ….। দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে আর প্রয়োজন নেই।”  সম্প্রতি সায়েন্সসিটিতে আয়োজিত বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এই…

“সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর নয়, যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ….। দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে আর প্রয়োজন নেই।”  সম্প্রতি সায়েন্সসিটিতে আয়োজিত বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এই সুরেই আওয়াজ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মন্তব্যের জেরে জলঘোলা শুরু হয় দলের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলের মতে শুভেন্দুর সরাসরি এই সংখ্যালঘু ‘আক্রমণ’ রাজ্যে মেরুকরণ আরও তীব্রতর করার উদ্দেশ্যেই। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের সরাসরি সমর্থন জানায়নি রাজ্য বিজেপি।

মেয়াদ শেষের ৫ বছর আগেই ইস্তফা ইউপিএসসি-র চেয়ারম্যান মনোজ সোনি-র

   

শুভেন্দুর মন্তব্যে জলঘোলা কাটতে না কাটতেই এই ইস্যুতে শনিবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি। এদিন স্পষ্টত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, শুভেন্দু দলে নতুন এসেছেন। তিনি দলের অনেক কিছুই ভালো মতো জানেন না। তিনি যা বলেছেন সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিতে সংখ্যালঘু মোর্চা রয়েছে। এই সংখ্যালঘু মোর্চাকে শেষ করা যাবেনা। জামাল সিদ্দিকির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের চাপানউতোর শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

জামাত ইন্ধনে বাংলাদেশের জেল দখল, পলাতক আনসার আল ইসলাম জঙ্গিরা

সেই বিতর্কের জেরে বিজেপির ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে শাহনাওয়াজ হুসেন ও মোক্তার আব্বাস নকভীর মতো সংখ্যালঘু নেতাকে ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দ্বায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছিল। এরা সকলেই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চারই সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এখন শুভেন্দুর এই মন্তব্য দলের সংখ্যালঘু নেতাদের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার করবে সেটাই স্বাভাবিক। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের সরাসরি সমর্থন জানায়নি রাজ্য বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলে ন, বিজেপি ১৪০ কোটি ভারতীয়দের কথাই ভাবে। বাংলার রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিম সবাই চলায় বিশ্বাসী বিজেপি।

শুভেন্দুর মন্তব্যের আঁচ পড়েছে তাঁর নিজের গড়েও। একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে তমলুকে দলের সংখ্যালঘু মোর্চার নেতারা। শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামের একাধিক সংখ্যালঘু মোর্চারাও রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিরোধী নেতার ঘোষণায়।

ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণভয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, শুভেন্দুক মানসিক চিকিত্সা প্রয়োজন। বিজেপিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্টো কিছু বলা যায় না, সেটা হয়তো উনি ভুলে গিয়েছেন।

এবার জামাল সিদ্দিকির এই পাল্টা কটাক্ষে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বঙ্গ বিজেপিকে। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীর গোষ্ঠী আরও কোনঠাসা হয়ে উঠবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।