কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন? বিরাট কারণ ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী

সালটা ২০২০। তারিখটা ১৯ ডিসেম্বর, শনিবার। বাংলার রাজনীতিতে সেই দিনটা মনে থেকে যাবে সবার। ওই দিনই দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন…

Suvendu-Adhikari

সালটা ২০২০। তারিখটা ১৯ ডিসেম্বর, শনিবার। বাংলার রাজনীতিতে সেই দিনটা মনে থেকে যাবে সবার। ওই দিনই দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিশাল জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তিনি (Suvendu Adhikari)।

তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। কেন তৃণমূল ত্যাগ করেছেন? তা নিয়ে বহুবারই মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রাক্কালে ফের একবার শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, ঠিক কী কারণে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করেছেন। বাগদার এক জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, তোষণের রাজনীতির বিরোধিতা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম।

   

২০২০ সালে ২৭ নভেম্বর তিন দপ্তরের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের সদ্যপ্রাক্তন বিধায়ক। অন্যান্য সরকারি দায়িত্বও তিনি ছেড়ে দেন। পাল্টা জোড়াফুল শিবিরও শুভেন্দুকে সংগঠনের নানা পদ থেকে ছেঁটে ফেলে। পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন অধিকারী পরিবারের জনপ্রিয় নেতা।

আদালতের নির্দেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের পার্টি অফিস, চলল বুলডোজার

কিন্তু কী কারণে তিনি তৃণমূল ছাড়লেন? তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তৃণমূলকে ৬ পাতার খোলা চিঠি লিখে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ, বাগদায় ভোটপ্রচারে এসেও ফিরে এল শুভেন্দুর দলত্যাগের প্রসঙ্গ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাফ জানিয়ে দিলেন, তোষণের কারণেই তৃণমূল ছেড়েছেন।

আগামী ১০ জুলাই বাংলার ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন (রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ, মানিকতলা, বাগদা)। বাগদা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। এই কেন্দ্রে তাঁর মূল প্রতিপক্ষ বিজেপির বিনয়কুমার বিশ্বাস।

উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিরাট ধাক্কা খেতে পারে তৃণমূল!