যারা খুব ঘনিষ্ঠ তারা বলবেন বাস্তবে কতটা ভীরু অনুব্রত মণ্ডল। এমনই নেতা রাজনৈতিক ক্ষমতার কারণে বিশাল নিরাপত্তা রক্ষীর ঘেরাটোপে থাকতেন। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ভয় ঘিরে থাকত। সেই দেহরক্ষীদের নিয়েই দিনরাত ওঠাবসা। কেউ কেউ অতি ঘনিষ্ট। যেমন সায়গল হোসেন। গোরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকা সেই সায়গল মুখ খুলে দিয়েছে সেটা জানতে পেরেছেন তৃ়ণমূল কংগ্রেসের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে তিনি ঘামছেন। আজ রাতই কি তৈরি করা ভয় মেশানো রাজনীতির শেষ? রাজনৈতিক কটাক্ষ এবার দুয়ারে সিবিআই।
চরম আলোচিত অনুব্রত মণ্ডল কি হাজিরা দেবেন। কেন তিনি গোরু পাচার মামলায় বারবার সিবিআই জেরা এড়িয়ে যাচ্ছেন? এসবের মাঝে বারবার আলোচিত হচ্ছে গত এক দশকে অনুব্রত গল্প।
আগেও অনুব্রত স্বীকার করেছেন তিনি নায়ক নন বরং খলনায়কের চরিত্র দেখতে বেশি পছন্দ করেন। তাদের অনুকরণ করেন। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল দলের ক্ষমতা ও গরম ভাষণের জন্য বিখ্যাত তা বহুল পরিচিত। তবে রাজনীতিই তার ধ্যানজ্ঞান।
ভরা বাম আমলে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস হন অনুব্রত মণ্ডল। ২০১১ সালের পর বারবার তাকে নিয়ে তৈরি করা হরেক মুহূর্তের ছবি অনুব্রতকে ভয়াল করে তোলে। তবে অতি পরিচিতরা বলছেন তিনি বাস্তবে খুব ভীতু। একলা অন্ধকারেও ভয় পান।
অনুব্রত মণ্ডল যে আর ভয়ের নাম না, এসএসকেএমে সেটা নিজেই বুঝেছেন, তাকে দেখে উড়ে এসেছে গোরু চোর, গোরু চোর ধ্বনি। নীরবে সব হজম করেছেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রীর প্রিয় কেষ্ট।
খেলা হবে, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে, পুলিশকে বোমা মারুন, আঙুল কেটে নেব, এরকমই সব মন্তব্য করে বারবার চমক তৈরি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর দাবি কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায়। অভিযোগ, নেত্রীর বদান্যতায় অনুব্রত আরও ক্ষমতাশালী হন।
বীরভূম জেলা ও লাগোয়া পূর্ব বর্ধমানের অজয় নদ তীকবর্তী, গুসকরা, মঙ্গলকোটের এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার গোরু পাচার মামলার তথ্য পেয়েছে সিবিআই। বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন। ফের বু়ধবার তলব করেছে। এবারও ‘অসুস্থ’ অনুব্রত। তিনি কি গ্রেফতারির ভয় পাচ্ছেন? বীরভূম ছাড়িয়ে পুরো রাজ্য জুড়ে আলোচনা।