Anubrata Mondal: কেষ্টদা’র অন্ডকোষ পেকেছে! কর্মীরা প্রচণ্ড হতাশ

‘পেটে গ্যাস জমে দাদার। গরমের সময় কাহিল থাকেন। তবে অন্ডকোষ যে পেকে গেছে তা তো তেমন বুঝিনি! দাদা খুব চাপা স্বভাবের।’ ফোন রেখে দিলেন বীরভূম…

Anubrata Mondal: কেষ্টদা'র অন্ডকোষ পেকেছে! কর্মীরা প্রচণ্ড হতাশ

‘পেটে গ্যাস জমে দাদার। গরমের সময় কাহিল থাকেন। তবে অন্ডকোষ যে পেকে গেছে তা তো তেমন বুঝিনি! দাদা খুব চাপা স্বভাবের।’ ফোন রেখে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ নেতা। গলায় হতাশা স্পষ্ট।

ফোন রাখার আগে নিচু স্বরে তিনি বললেন, দাদার জন্য পাহাড়েশ্বরের মন্দিরে পুজো দেব আরেকবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই টিএমসি নেতা সহ আরও কয়েকজনের একটাই কথা, কী করে দাদার অন্ডকোষ পেকে গেল!

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরা করবে বলে ডেকে পাঠায় টিএমসির বীরভূম জেলা সভাপতিকে। আদালত রক্ষাকবচ না মঞ্জুর করায় তিনি কলকাতায় যান। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার ঠিক আগেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে।

চিকিৎসাধীন অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে। এদিকে সিবিআই অফিসাররা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যের দিক পর্যবেক্ষণ করছেন বলে খবর। কল্যাণী এইমস হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিবিআই।

Advertisements

এর মাঝে সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ‌রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দুটি অন্ডকোষের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। ‌পুঁজ জমা হয়েছে। তার ফুসফুসের রিপোর্ট যথেষ্ট স্বস্তিজনক নয়।অক্সিজেন সাপোর্টে আরও বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। ‌এই খবরের জেরে যেমন কটাক্ষ চলছে, তেমনই বীরভূম জেলা টিএমসির অন্দরেও বাড়ছে চাপা উদ্বেগ। তবে বিরোধী দল বিজেপির দাবি, অনুব্রতকে সিবিআই জেরা করলেই গোরু পাচার মামলা ও বগটুই গণহত্যা মামলায় অনেক গোপন তথ্য বের হবে।

বীরভূম জেলায় টিএমসির কোনও অস্তিত্ব নেই। বিধানসভা, গত পুরসভা ভোটে বিজেপি এই জেলায় পদ্ম ফোটাতে পারেনি। তবে পুরভোটে সিপিআইএমের সঙ্গেই টিএমসির লড়াই হয়। জেলায় রামপুরহাট পুরসভার একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বামফ্রন্ট। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, বগটুই গণহত্যার পিছনে যে বেআইনি বালি ও পাথর খাদানের ব্যবসা চলে তার মাথা জেলা টিএমসির নেতারা সবাই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ।