Birbhum: অনুব্রত জেলে আর তৃ়ণমূল নেতারা দলের বিরুদ্ধে সরব, ভাঙন রুখতে মরিয়া মমতা

সংগঠন ক্রমে আলগা বীরভূমে (Birbhum)। খোদ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি গোরু পাচার তদন্তে জেলে আছে। গোরু পাচার মামলায় গত ১১ আগস্ট থেকে আসানসোল…

সংগঠন ক্রমে আলগা বীরভূমে (Birbhum)। খোদ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি গোরু পাচার তদন্তে জেলে আছে।

anubrata_jial

গোরু পাচার মামলায় গত ১১ আগস্ট থেকে আসানসোল জেলে অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে অনুব্রতহীন জেলায় আলগা হচ্ছে সংগঠন। দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব নেতারাই। পরিস্থিতি বুঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন অনুব্রতকে বীরের মতো ফেরানো হবে। আর মন্ত্রী ফিরহাদ বলছেন বীরভূমের বাঘ অনুব্রত। বিরোধীদের দিকে তাঁর কটাক্ষ- বাকিরা শিয়াল।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

জানা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করবে ইডি। তার দেহরক্ষী সায়গলের ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে।

এদিকে অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় বীরভূম জেলা তৃণমূলে নামছে সমর্থক ধ্বস। জানা যাচ্ছে, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পেতে চলেছেন বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের একাংশ। কাজল শেখের মতো নেতারা প্রকাশ্যে ও সামাজিক মা়ধ্যমে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই বীরভূম জুড়ে তৃ়ণমূলে লাগছে ধাক্কা।জেলের মধ্যে থেকেই দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়ে অনুব্রত বলে দিয়েছেন দলের মধ্যে কোনও গ্রুপবাজি চলবে না। সারা জীবনের জন্য জেলে থাকবেন না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

anubrata_jial

বীরভূমে জেলা তৃণমূলের পরিচালনায় রয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং মুখপাত্র মলয় মুখ্যোপাধ্যায়। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহা ও অভিজিৎ সিংদের।

বীরভূমে গত দু মাসে তৃণমূল সমর্থনে ভাঙন ধরছে। জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগদান চলছে। বিজেপি ছেড়েও বাম শিবিরে যাওয়া অব্যাহত। একের পর এক বড় জনসভা করেছে বাম শিবির। বীরভূম জেলা সিপিআইএমের দাবি, অনুব্রতর তৈরি করা ভয় ভাঙছে।

anubrata_jial

গত বিধানসভা ভোটে বীরভূমের অতি স্পর্শকাতর নানুর কেন্দ্র সিপিআইএমের থেকে ছিনিয়ে নেন অনুব্রত মণ্ডল। আর পুর নির্বাচনে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়। দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসে সিপিআইএম। অনুব্রত নিজে স্বীকার করেছিলেন, বাম সংগঠন সক্রিয়। বামফ্রন্ট আমলে বীরভূমে ছিল সিপিআইএমের আধিপত্য।