‘বলেছিলাম বাবা পাহাড়েশ্বর আছেন। তিনিই সব করলেন! কেষ্টদা জেলার মাটিতে যেই পা রাখবেন অমনি বীরভূম জুড়ে ঢাক বাজবে। দুর্গাপুজোর আগে দাদা (Anubrata Mondal) ফিরছেন আর ঢাক বাজবে না, তা কী করে হয়!’-এক টানে কথা বলে কিছুটা দম নিলেন বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা। তিনি কাজল শেখের ঘোর বিরোধী। নাম না লেখার শর্তে কথা বলেছেন Kolkata 24×7-এর সঙ্গে।
ভোটের সময় বদলি হলেও এখনও ঘরে ফেরেনি, রাজীব কুমারের দ্বারস্থ পুলিশ পরিবারেরা
Kolkata 24×7: চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজবে?
তৃণমূল নেতা: আরে ওটা একটা কথার কথা। সিপিএমের নেতাগুলোকে ওভাবেই বললে বুঝবে
Kolkata 24×7: আর বিজেপি? ওরাই তো বিরোধী দল।
তৃণমূল নেতা: পাগল হয়েছেন। এ জেলায় বিজেপির ভোট শুধু সিপিএমের। ওদের লোকেরাই আছে। পদ্ম পার্টির বেস নেই। কেষ্টদা বলতেন, গোহারা হারলেও সিপিএম তবু সংগঠন করে। বিজেপি হাওয়ায় ওড়ে।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিতে মমতাকে জোড়া চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
Kolkata 24×7: তাহলে ঢাক বাজবে জোরে?
তৃণমূল নেতা: আলবাৎ বাজবে। চড়াম চড়াম করেই বাজবে। মিলিয়ে নেবেন। বাবা পাহাড়েশ্বর আছেন। দিদি আছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলের পর থেকে বীরভূমে ঢাক বাজার বার্তা ছড়াতে শুরু করেছে। জেলার সিপিআইএম, বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পাওয়া নিয়ে নীরব। তবে বাম ঘনিষ্ঠ আইনজীবীর ব্যাখ্যা, গরু পাচার তদন্তে সিবিআইয়ের মামলায় আগেই জামিন পেরেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তখনই বোঝা গেছিল বেশিদিন তিহার জেলে থাকতে হবে না অনুব্রতকে। এবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
২০২২ সালের গরু পাচার মামলায় চরম নাটকীয় পরিবেশে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মন্ডলকে৷ ২০২৩ সালে ওই মামলাতেই তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। বাবা-মেয়ের তিহার জেলে ঠাঁই হয়েছিল। দুজনেই জামিনে মুক্ত।
টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের দাবি!
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছিলেন। পরে তিনি বীরভূম জেলায় অপর দাপুটে নেতা কাজল শেখের হাতে দলীয় সংগঠনের ভার দেন। ভোটে দুর্দান্ত ফল করে কাজল শেখ নেত্রীকে খুশি করেছেন। জেলায় তাঁর দাপটে কোণঠাসা হয়েছিল অনুব্রত অনুগামীরা। অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছাস করেছিলেন কাজল শেখ।
দীর্ঘ তিহার-বাস কাটিয়ে বীরভূমে ফিরছেন অনুব্রত। কাজল শেখের গোষ্ঠী এবার কোণঠাসা। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে জেলা তৃণমূলের ভিতরেই ঢাক বাজতে শুরু করবে বলে মনে