Mamata Banerjee: বড় শিল্পে লগ্নির শীর্ষে বাংলা, রাজ্যের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী

বৃহৎ শিল্পে সেরার তকমা পেল মমতার (Mamata Banerjee) পশ্চিমবঙ্গ। এর আগে ছোট এবং মাঝারি শিল্পে সাফল্য পেয়েছিল বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বড়…

Bengal Tops in Large-Scale Investment, Chief Minister Thrilled by State's Success

short-samachar

বৃহৎ শিল্পে সেরার তকমা পেল মমতার (Mamata Banerjee) পশ্চিমবঙ্গ। এর আগে ছোট এবং মাঝারি শিল্পে সাফল্য পেয়েছিল বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বড় শিল্পে লগ্নির আগ্রহের ক্ষেত্রে বাংলা এখন দেশব্যাপী শীর্ষস্থানীয়। ২০২৪ সালে, দেশের তিনটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে, যেখানে কর্পোরেট সংস্থাগুলি বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

   

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে এই সাফল্য শেয়ার করেছেন। তিনি তার এক্স (X) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানান, ‘প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড’ বা ‘ডিপিআইআইটি’-এর সর্বশেষ রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে রয়েছে। এটি রাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় স্তরে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের উন্নতির প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ দেশের সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সেরা হওয়ার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিল। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিসের রিপোর্টেও উঠে এসেছে যে, রাজ্যটি উৎপাদন শিল্প এবং নারী পরিচালিত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে সেরা। এই পরিসংখ্যান বাংলার শিল্পের ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং সফলতার ইঙ্গিত দেয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, ‘আমরা শুধু এমএসএমই (মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ)-এ সেরা ছিলাম, এখন বৃহৎ শিল্পেও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। এটা আমাদের শিল্পবিকাশের একটি বড় সাফল্য।’ তার কথায়, এবারের সাফল্য শুধু পেছনের সাফল্য নয়, বরং দেশের মধ্যে বৃহৎ শিল্পে লগ্নির আগ্রহের দিক থেকে বাংলা একেবারে শীর্ষে উঠে এসেছে।

ডিপিআইআইটি-এর ২০২৪-‘২৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা রাজ্যটি বড় কর্পোরেট শিল্পে লগ্নি আকর্ষণের ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ তিনটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে। এর মানে হল, ভারতের বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলার আকর্ষণ এখন অন্য যে কোনও রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। এই পরিস্থিতি বাংলার জন্য এক বিশাল জয়, যেখানে অন্যান্য রাজ্যগুলি এখনও চেষ্টার মধ্যে রয়েছে।

শাসক দলের মতে, বাংলার সফলতার এক বড় কারণ হল রাজ্য সরকারের অনুকূল নীতিমালা এবং উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন, তিনি বাংলাকে শিল্পের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তার সরকারের উদ্যোগে রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পের পরিবেশ উন্নত হয়েছে। বিভিন্ন শিল্পের জন্য অনুকূল পরিকাঠামো তৈরি করা, কর নীতির সহজীকরণ, এবং অন্যান্য সাহায্যকারি স্কিমের ফলে বিনিয়োগকারীরা বাংলায় তাদের লগ্নি রাখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবারের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটও একটি বড় কারণ। এই সামিটে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট নেতাদের বাংলায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। সামিটের পরে বেশ কয়েকটি বড় কর্পোরেট সংস্থা বাংলায় তাদের পুঁজি ঢালার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর ফলে বাংলা রাজ্যটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এবারের বিজনেস সামিট সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে, বাংলায় আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে এবং রাজ্যটি আরও বড় ব্যবসায়িক রেকর্ড গড়বে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আগামী বছরগুলিতে বাংলার শিল্পক্ষেত্র আরো শক্তিশালী হবে এবং বৃহৎ শিল্পে বাংলার অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।

বাংলার এই সাফল্য দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতে, রাজ্যটির কর্মসংস্থানের হার বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে এই সাফল্য সহায়ক হবে। যেহেতু বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগ বাড়বে, এতে রাজ্যে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতির চাকা আরও দ্রুত ঘুরবে।