বঙ্গে (Bengal) ডুবল পদ্ম, মাদারিহাটও (Madarihat) হাতছাড়া (loses) বিজেপির (bjp)। রাজ্যের ছয় কেন্দ্রের বিধানসভা উপ-নির্বাচনের (Elections) ফলাফল প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই যাচ্ছে। আর জি কর কাণ্ডের পর এই উপনির্বাচন ছিল রাজ্য রাজনীতির অন্যতম বড় পরীক্ষা। বিরোধীরা দাবি করেছিল, রাজ্যজুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে এবং তৃণমূলের প্রতি তাদের নিরাশা জেগেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল দেখে পরিষ্কার হচ্ছে, রাজ্যের সাধারণ মানুষ তাদের মাটি-মায়া এবং শাসকদলের প্রতি আস্থা বজায় রেখেছে।
মাদারিহাট, সিতাই, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি এবং হাড়োয়া—এই ছয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের ফল নিয়ে সংশয় ছিল। তবে প্রাথমিক গণনা শেষে, সমস্ত আসনেই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির হাতে থাকা মাদারিহাট কেন্দ্রেও তৃণমূলের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে, মাদারিহাটে তৃণমূলের প্রার্থী ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে। সিতাই কেন্দ্রেও তৃণমূলের প্রার্থী প্রায় ৬০ হাজার ভোটের লিড নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মেদিনীপুর কেন্দ্রের দ্বিতীয় রাউন্ড গণনায় তৃণমূলের প্রার্থী ১৬ হাজার ৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১০ হাজার ১৬৮ ভোট, আর সিপিআই প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৩১১ ভোট।
তালডাংরা কেন্দ্রের গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী ৩ হাজার ৩৯৭ ভোটে এগিয়ে, যেখানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। নৈহাটি কেন্দ্রের সপ্তম রাউন্ড গণনায় তৃণমূল প্রার্থী ৩৫ হাজার ৩৪৪ ভোটের লিডে রয়েছেন। হাড়োয়া কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থী ৩৪ হাজার ৪৫২ ভোটে এগিয়ে, যা শাসকদলের জন্য এক বড় সাফল্য বলে চিহ্নিত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, আর জি কর আন্দোলনের প্রভাব এই উপনির্বাচনের ফলাফলে বিশেষ কিছু প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিরোধীরা যেখানে রাজ্যের জনগণের মধ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার আশা করেছিলেন, সেখানে তার একটুও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং, তৃণমূল কংগ্রেস আবারও নিজেদের শক্তি এবং জনসমর্থন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে এই উপনির্বাচনটি ছিল শাসক দলের জন্য এক বড় অ্যাসিড টেস্ট, যা তারা সফলভাবে পেরিয়ে গেছে।