পকেট গড়ের মাঠ! হাইকম্যান্ডের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা প্রদেশ কংগ্রেসের

একেবারে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা প্রদেশ-কংগ্রেসের। বঙ্গের কংগ্রেসের এখন এমনই বেহাল দশা যে, আর কোনও নির্বাচন (Bengal Byelection 2024) লড়বার মত টাকাকড়ি নেই বলে দাবি…

prodesh congress পকেট গড়ের মাঠ! হাইকম্যান্ডের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা প্রদেশ কংগ্রেসের

একেবারে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা প্রদেশ-কংগ্রেসের। বঙ্গের কংগ্রেসের এখন এমনই বেহাল দশা যে, আর কোনও নির্বাচন (Bengal Byelection 2024) লড়বার মত টাকাকড়ি নেই বলে দাবি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। আর তাই এবার দিল্লীর দরবারে হাত পেতে টাকা চাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা এই মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।(Bengal Byelection 2024)

যদিও উপরমহল তাদের এই কাতর অনুনয়ে সারা দেবে কিনা, সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে খোদ প্রদেশ নেতৃত্বের মনে। তবুও হাল ছাড়ছেন না তাঁরা। রীতিমত নাছোড় ছেলের মত আবদার করতে তাঁরা কোনও ভাবেই পিছপা হচ্ছেন না।

   

লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই বঙ্গে ৪ আসনে উপ-নির্বাচনের (Bengal Byelection 2024) ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই কপালের ভাঁজ আরও গভীর হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে এই নির্বাচনে খরচের জন্য অর্থ তাদের কাছে নেই বলে হাত তুলে দিয়েছেন তাঁরা।

যদিও ২ আসনে প্রার্থী ঘোষণার কাজ সারা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু প্রচার বা দেওয়াল লেখা কবে থেকে শুরু হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না। কারণ টাকা নেই ইলেকশন-ফান্ডে।

আসন্ন উপ-নির্বাচনে বাগদা থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী অশোক হালদার। একদা হাত শিবিরের গড় রায়গঞ্জ থেকে লড়বেন মোহিত সেনগুপ্ত। তবে এখনও তাদের কাউকেই প্রচারে নামতে দেখা যায় নি। এদিকে অর্থাভাব সম্পর্কে কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি অমিত মজুমদার বলেন, “এই সদ্য লোকসভা ভোট গেল। খুব কষ্ট করে লড়াই করতে হচ্ছে। এআইসিসি টাকা না দিলে কি করে লড়ব বুঝতে পারছি না।”

মদ মাংস বাতিল ঘোষণা উদয়নের! কোচবিহারে তৃণমূল হবে নিরামিশাষী?

এরই মধ্যে লোকসভা ভোট ও তার ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছিল প্রদেশে কংগ্রেস ভবনে। বাংলার নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর-সহ দুই আরও সহকারি পর্যবেক্ষকের কাছে প্রদেশ নেতৃত্ব উপ নির্বাচনের জন্য টাকা দেওয়ার অনুরোধ করেন। 

যদিও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নাকি বক্তব্য ছিল, উপনির্বাচনের জন্য টাকা এআইসিসি দেয় না। তবুও নাছোড় প্রদেশ নেতৃত্বের দাবি কিছু অর্থ অন্তত দেওয়া হোক। লোকসভা ভোটে বাংলায় দলের ফল খুবই খারাপ। উপনির্বাচনেও সেরকম একটা আশা নেই বললেই চলে। কিন্তু ফলাফল যাই হোক, উপনির্বাচনেও লড়তে হবে! তাই টাকার দরকার। দলের এক নেতার বক্তব্য, সবশেষে বঙ্গ নেতাদের কাতর অনুনয়ের পর বিষয়টি নাকি ‘ভেবে’ দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গোলাম মীর।

টনক নড়ল মমতার! সরকারি জমি জবরদখল রোধে এবার কড়া পদক্ষেপ

লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী খরচের সংস্থান করতে রীতিমত ক্রাউড ফান্ডিং-এর পথ ধরতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীদের। তারওপর গোঁদের অপর বিষফোড়ার মত ছিল আক্যাউন্ট ফ্রিজে এবং জরিমানার ঘটনা। সব মিলিয়ে শতাব্দী প্রাচীন দলের হাঁড়ির হাল যথেষ্টই খারাপ।

তার ওপর নির্বাচনী বন্ডের আমদানিতেও জাতীয় দল কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দল। কিছুটা ভালো ফল করে বিরোধী দলের মর্যাদা ফেরত এলেও, দলের কোষাগার এখনও খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই বলেই জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দিল্লীর দরবার থেকে কতটা সুবিধা পাবে বাংলার কংগ্রেস, প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।