বিধানসভা নির্বাচনে কোন পক্ষের মুখে ফুটবে শেষ হাসি তা নিয়ে জল্পনা চলছেই (Bengal BJP)। শুরু হয়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্তের স্ট্রাটেজি তৈরী। বাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূল যুযুধান দুই পক্ষই শুরু করে দিয়েছে যুদ্ধের ছক কষা। ২০২৬ এ বঙ্গ বিজেপির স্ট্রাটেজি এবার অভিনব। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে ২০০ নয় এবার তার অনেক আগেই থামবে গেরুয়া শিবির।
প্রথম অংকে পদ্ম শিবিরের স্ট্রাটেজি ছিল ২০০ আসন কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে বাংলার ১৬২ টি বিধানসভা আসনের জন্য লড়াই করবে বঙ্গ বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুসারে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল এগিয়ে ১৯২টি বিধানসভা আসনে।
বিজেপি এগিয়ে ৯০টিতে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে, তৃণমূল পেয়েছিল ২১৩টি, বিজেপি ৭৭টি। সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ভালো ফল করেছিল পদ্ম শিবির।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে বিধানসভা কেন্দ্র গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম স্তরে আছে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে যেটা ৫৫ টি বিধানসভা কেন্দ্র। দ্বিতীয় স্তরে অবশ্যই রয়েছে বিজেপির এগিয়ে থাকা ৯২ টি আসন। এবং তৃতীয় স্তরে রয়েছে সেই ৭০ টি আসন যে আসন গুলিতে বিজেপি একটুর জন্য হেরে গিয়েছিল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরে থাকা বিধানসভা কেন্দ্র গুলিকে পাখির চোখ করে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের যাত্রা শুরু করতে চায় গেরুয়া শিবির। তৃতীয় স্তরে থাকা ৭০ আসন যেমন, নাগরাকাটা, নাকাশিপাড়া, ব্যারাকপুর, জগদ্দল এই আসন গুলিতে দশ হাজারেরও কম ভোটে হারে বিজেপি। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৭০ টি আসনের উপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে চায় বিজেপি।
বিজেপির এই স্ট্রাটেজি কতটা কাজ করবে এবং লক্ষ্য কমিয়ে শেষে আসন ও কমবে কিনা তা একমাত্র বোঝা যাবে নির্বাচনের ফলাফলে। অন্যদিকে জোড়াফুল শিবির তার নতুন স্ট্রাটেজি সাজিয়েছে বাঙালি প্রীতি এবং ভিন রাজ্যে বাঙালি নিগ্রহকে কেন্দ্র করে। আগামীকাল বোলপুরে শুরু হবে মমতার পদযাত্রা। পদযাত্রা শেষে জনসভায় ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, চলল গুলির লড়াই
এই পদযাত্রা এবং জনসভাকে ঘিরে রাজ্য বিজেপির কটাক্ষ এবং তৃণমূলের পাল্টা বিরোধ নিয়ে রাজ্য রাজনীতির ময়দান এখন সরগরম। তবে বিজেপির এই ১৬২ লক্ষ্য কতটা পূরণ করতে পারে গেরুয়া শিবির এবং তারাই কি আসন্ন বছরে সরকার গড়বে তা নিয়ে আগ্রহ থাকবে বাংলার মানুষের।