বিজেমূল একটি রাজনৈতিক কটাক্ষ শব্দ। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপির মধ্যে বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-নেত্রীদের আসা যাওয়া লেগেই থাকে। সেই কারণে বাংলার রাজনীতিতে উদ্ভুত হয়েছে ‘বিজেমূল’ শব্দটি। দলবদলুরা বিজেমুলী বলে চিহ্নিত হন। বিশ্লেষকরা বলেন রাজ্যে বিজেমূলের রমরমা চলছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ এবং কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেমূলীরা হাসছেন। ভোটের মূল লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। তবে ‘বিজেমূল’ হাসছে।
রাজ্যে গত বাম জমানায় দলবদলের ভয়াবহ ছবিটা এসেছিল কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর। আর বাম জমানা শেষের পর দলবদলু তকমা পেয়েছেন বহু সিপিআইএম, তৃণমূল, বিজেপি নেতা-নেত্রী। তবে সর্বাধিক আলোচিত ‘বিজেমূল’।
লোকসভা ভোটের রাজ্যে বিজেপি বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয় তার কারণ বিজেমূল। রায়গঞ্জ, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে বিধায়করা দলবদল করায়। এই তিনটি কেন্দ্রেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল। ব্যাতিক্রম মানিকতলা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হন। সেই কারণে উপনির্বাচন।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পান্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক।’