Bangla Pokkho: রায়গঞ্জে বিপাকে বাংলাপক্ষ

বাঙালি প্রার্থীকে ভোট দিন। এমনই দাবি করে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)। সুর থাকে তৃণমূলের পক্ষে। বাম প্রার্থীর হয়েও কখনও সওয়াল করেছে। তবে সবসময় বিজেপির বিপক্ষে। এনিয়েই…

Bangla Pokkho Encounters Challenges in Raiganj Lok Sabha Constituency"

বাঙালি প্রার্থীকে ভোট দিন। এমনই দাবি করে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)। সুর থাকে তৃণমূলের পক্ষে। বাম প্রার্থীর হয়েও কখনও সওয়াল করেছে। তবে সবসময় বিজেপির বিপক্ষে। এনিয়েই এবার বিপাকে বাংলাপক্ষ। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে।

উত্তর দিনাজপুরের লোকসভা আসন রায়গঞ্জ। তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। অবাঙালি। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়াই করে জেতেন। পরে দলবদল করেন।

জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের আলি ইমরান রামজ। তাঁর সম্পর্কে গর্গ চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, “রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ আজ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রায়গঞ্জের বাঙালিকে “বাংলাদেশী” বলেছে এবং “জয় বাংলা” স্লোগানকে বাংলাদেশের স্লোগান বলেছে।”

একইসঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “এই আলি ইমরান রামজ আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক বাংলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, ঐ বিষয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেছিল। তাদের সমর্থন দিয়ে উপস্থিত ছিল পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওআইএফআই।”

জোট প্রার্থীকে সরাসরি বাংলা বিদ্বেষী বলে তোপ দেগেছেন বাংলাপক্ষর প্রধান মুখ গর্গ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। যিনি বাঙালি। এ নিয়েই প্রশ্ন, রায়গঞ্জে বাংলাপক্ষ কোন পক্ষে? বিজেপির বাঙালি প্রার্থীকে সমর্থন করবে বাংলাপক্ষ?

জবাবে গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিদেশি দলের বাঙালি চাকরকে বাঙালি বলে না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “রায়গঞ্জের ক্ষেত্রে সত্যি কিছু বলার নেই। সবকটা প্রার্থী বাংলা ও বাঙালির শত্রু।”

ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বলে নিজেদের দাবি করে বাংলাপক্ষ। রায়গঞ্জের মতো ইস্যুতে সংগঠনের মাথা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বাঙালি জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠছে। এক মাঘে শীত যায় না।”