২০১৪ সালে প্রবল মোদী হাওয়া যেমন ছিল তার সঙ্গে জুড়েছিল বাপ্পি অনুরাগ। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বেগ পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই লোকসভা কেন্দ্রে টিএমসির কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলেও খোদ শ্রীরামপুর বিধানসভা এলাকায় টিএমসি পিছিয়ে পড়ে বাপ্পি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) জনপ্রিয়তায়। তিনি হারেন।
ভোটে বাপ্পি লাহিড়িকে দাঁড়া করানো ছিল বিজেপির চমক। নির্বাচন কমিশনকে হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৫৪ গ্রাম সোনা এবং ৪.৬২ কেজি রুপোপ গয়না রয়েছে। তৎকালীন সময়ে কুড়ি কোটি টাকার সম্পত্তি। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, বাপ্পি লাহিড়ির পাঁচটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়। বাৎসরিক আয় ২ কোটি টাকারও বেশি ছিল৷মুম্বইতে ২০০১ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বাড়ি কেনেন তিনি।
বাপ্পি লাহিড়ির সোনার গয়না প্রীতির কারণে তিনি সোনা বাপ্পি নামে পরিচিত। তিনি গানের ঝলকে ভোট বাজার মাত করেন। কিন্তু ভোট অন্য বিষয়। ফলে জনপ্রিয় গায়কের জন্য কিছু ভোট বাড়ে বিজেপির।
শ্রীরামপুর লোকসভা আসনে জয়ী হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হারান সিপিআইএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়কে। তৃতীয় স্থান দখল করে বিজেপি। বাপ্পি লাহিড়ির রাজনৈতিক অভিযান সেখানেই শেষ হয়ে যায়।