Purba Medinipur: হামলায় জখম সাংসদ শিশির অধিকারী, অভিযুক্ত তৃ়ণমূল

রাজনৈতিক সংঘর্ষে গরম পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি। আক্রান্ত সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি তৃ়ণমূল সাংসদ তবে বর্তমানে দলের সাথে যোগাযোগ নেই।

sisir adhikari

রাজনৈতিক সংঘর্ষে গরম পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি। আক্রান্ত সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি তৃ়ণমূল সাংসদ তবে বর্তমানে দলের সাথে যোগাযোগ নেই। এখন বিজেপি ঘনিষ্ঠ। তাঁর পুত্র শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ, সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলায় জড়িত তৃণমূলের একাংশ। খেজুরি থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়িতে হামলা হয়। ইটের আঘাকে আহত হয়েছেন শিশির অধিকারী। নিরাপত্তারক্ষীরা উদ্ধার করে তাঁকে।

এদিন ছিল খেজুরি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সকাল থেকেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয় তৃ়ণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ঘটনাস্থলে যান কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তাঁর আরও এক পুত্র বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। তখনই শুরু হয় বোমাবাজি। খেজুরি বিডিও অফিসের ছাদে বোমা পড়ে।

অসুস্থ হয়ে পড়েন বিডিও ত্রিভুবন নাথ। তাঁকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের অনুগামীরা ভীতি প্রদর্শন করার জন্যে বোমাবাজি শুরু করে। পুলিশকে বারবার জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তৃনমূলের অভিযোগ, বিজেপি হামলা করেছে। তৃণমূল বিজেপি ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

খেজুরিতে বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী আক্রান্ত ও জখম হওয়ার ঘটনায় জেলার রাজনীতি সরগরম। বিরোধী দলনেতার পিতা ও একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ ঘনিষ্ট শিশির অধিকারীর উপর হামলার ঘটনায় রাজ্যে পড়েছে আলোড়ন।

Advertisements

গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শিশির অধিকারীর সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হয়। মমতা-শিশির চরম বাকযুদ্ধ তৈরি হয়েছিল। নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন, বাম জমানায় নন্দীগ্রামে বাপ-ব্যাটার নির্দেশে গুলি চলেছিল। মমতার ইঙ্গিত ছিল শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর দিকে।

এর পরেই সিপিআইএম দাবি করে, ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে গুলি চলেনি তার প্রমাণ হয়ে গেল। নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনায় ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পান রাজনৈতিক ক্লিনচিট।আর মমতার সেই বিস্ফোরক দাবির পর শিশির অধিকারী সরাসরি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁকে মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চেও দেখা যায়। তবে তিনি সরাসরি নিজ মুখে তৃণমূল ত্যাগের কথা বলেননি।