গত বিধানসভায় পারাজয়ের পারও সায়নী ঘোষকে লোকসভায় টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। গত দু বছর তৃণমূলের নানা কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে সায়নীকে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন রাজনীতির ময়দানেও বেশ সক্রিয়। নানা সভা সমিতির মধ্যে দিয়ে তিনি মানুষের কাছে যেতে পড়েছেন বলেই মনে করেছে তৃণমূল। গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের গর্জনসভার মঞ্চ থেকে তাই লোকসভার প্রার্থী হিসেবে সায়নী ঘোষের (Saini Ghosh) নাম ঘোষণা করা হয়।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সায়নীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। টিকিট পাওয়ার পরেই জয় পেতে মরিয়া সায়নী ঘোষ। নিজের নির্বাচনী এলাকায় জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন অভিনেত্রী। কখনও প্রচারের ফাঁকে তাঁকে সাইকেল চালাতে দেখা গিয়েছে আবার কখনও ইনি বিনি টাপা টিনির তালে কোমর দুলিয়েছেন তিনি।
সায়নীর বিপরীতে যাদবপুর থেকে বামেদের প্রার্থী যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য। সম্প্রতি প্রচারে নেমে দুই প্রার্থীর মধ্যে দেখা হয়ে যায়। সেই সময় তাঁদের ঘিরে থাকা মানুষেরা অবাক হয়েছিলেন সৌজন্য বিনিময় দেখে। ওয়াকিবহল মহলের মধ্যে রাজনীতিতে এমন সৌজন্য বিনিময় আজকাল দেখা যায় না।
গতকাল সায়নীর সমর্থনে হুডখোলা জিপে প্রচার চালিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মিছিলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকের বেশ ভিড় চোখে পড়েছে। গতবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। ভোতে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন মিমি। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোকে স্পষ্ট জানিয়ে যেন ভোটে দাঁড়াবেন না। সেই জায়গায় সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যাদবপুরবাসী তাঁকে ভোটে জেতায় কিনা সেটাই এখন দেখার।