গরু পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল

গরু পাচার মামলায় বিরাট স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন তিনি।  দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে…

গরু পাচার মামলায় বিরাট স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন তিনি। 

দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জানা যাচ্ছে, শর্তসাপেক্ষ জামিন পেয়েছেন ‘কেষ্ট’। তদন্তে সবরকম সহযোগিতার শর্তে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে ইডির মামলায় বিচারাধীন থাকায় এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না অনুব্রতর। আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে বীরভূমের এই হেভিওয়েটকে।

   

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা না করলে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন বাতিল হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে পাসপোর্ট সারেন্ডার করে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। 

গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া নিজের চাকর ও চালকের নামেও জমি কিনেছেন তিনি।

ইডি আগে চার্জশিটে দাবি করেছে যে, গরু পাচার থেকে প্রাপ্ত অর্থ পাচারের জন্য গৃহকর্মী বিদ্যুৎ বরণ গায়নের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম মনোনীত ব্যক্তির নামে ছিল। বিদ্যুৎ মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন এবং ৭.৭১ কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে তাঁর নামে। সেইসঙ্গে একের পর এক লটারির টিকিট কেটে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনুব্রত বলেও দাবি করা হয়েছিল। ইডির অভিযোগ, কালো টাকাকে সাদা করতে একসময় নানা রকম ফন্দি এঁটেছেন তিনি।