আবেদন মঞ্জুর হলেও গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারের শঙ্কা কেষ্টার

গরু পাচারকাণ্ডে সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এর আবেদন খারিজ করেছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি…

গরু পাচারকাণ্ডে সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এর আবেদন খারিজ করেছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা। এদিকে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা করছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গত ১১ মার্চ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থারের এজলাসে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির আবেদন আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

এদিন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন কেষ্টর আইনজীবী। চলতি মাসের ৭ তারিখে অনুব্রতকে চতুর্থ নোটিশ পাঠিয়েছিল, তবে তখনও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।

এর আগে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। বিকল্প আইনি ব্যবস্থা আছে, চাইলে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন অনুব্রত। আদালত প্রশ্ন তোলে, এই ঘটনায় হাইকোর্ট বারবার কেন হস্তক্ষেপ করবে? সেইসময় সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল মূল অভিযুক্ত নয়, তাহলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে সমস্যা কোথায়। যদি মনে হয় সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেফতার করতে পারে তাহলে কেন তিনি আগাম জামিনের আবেদন করছেন না। অনুব্রত একজন রাজনৈতিক নেতা বলেই কি এডভেন্টেজ নিতে চাইছেন ? যদি তা না হয় তাহলে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরের হাজিরা দিচ্ছেন না কেন? তিনি কি একদমই বাড়ির বাইরে বেরোন না?’